স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিলনমেলা
Published: 16th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মুদ্রণ, টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন ও নিউ মিডিয়ায় সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং, ডাটা জার্নালিজম, নিউজ প্রোডাকশন, নিউজ প্রেজেন্টেশন ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতেও রাখছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য উদযাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ দৃঢ় করতে সম্প্রতি স্টামফোর্ডের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় ‘স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মিডিয়া
প্রফেশনালস গেট টুগেদার-২০২৫’। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড.
চ্যালেঞ্জিং পেশা, যেখানে প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সেই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় যুগোপযোগী শিক্ষা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং হাতেকলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে।v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম লনম ল
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার
শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজারে শুরু হয়েছে বৃহৎ বৈশাখী মেলা, স্থানীয়ভাবে যা 'বান্নি' নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলাটি চুনারুঘাটসহ সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলা শুরু হয় এবং মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃষিপণ্যের বিশাল সমাহার। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল, দা, কাঁচি, মই, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ অসংখ্য কৃষি উপকরণ। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হস্তশিল্প ও মনিহারি পণ্যেরও ছিলো চোখধাঁধানো উপস্থিতি।
স্থানীয় দোকানিরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু হবিগঞ্জ নয়, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকেও বিক্রেতারা অংশ নিয়েছেন এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে।
চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বলেন, এই মেলা মূলত কৃষকদের জন্য। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন তারা।
তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় মেলার জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। সেইসঙ্গে আশপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় মেলার পরিসরও সীমিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, মেলায় অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বাহিনী, নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। পরে তা বৃহৎ মেলায় রূপ নেয়।
এখনও অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে এই মেলায় আসেন, স্মৃতিচারণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেলায় পরিবেশিত হচ্ছে গ্রামবাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
চুনারুঘাটের এই বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক জীবনের প্রতিচ্ছবি।