বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মুদ্রণ, টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন ও নিউ মিডিয়ায় সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং, ডাটা জার্নালিজম, নিউজ প্রোডাকশন, নিউজ প্রেজেন্টেশন ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতেও রাখছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য উদযাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ দৃঢ় করতে সম্প্রতি স্টামফোর্ডের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় ‘স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মিডিয়া 
প্রফেশনালস গেট টুগেদার-২০২৫’। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড.

ফারাহনাজ ফিরোজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া ও রেজিস্ট্রার আবদুল মতিন। আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান কমানোর জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ।  আমরা চাই আপনি জানুন যে আমরা আপনার পাশে আছি। প্রধান অতিথি বক্তব্যে ড. ফারাহনাজ ফিরোজ বলেন, গণমাধ্যম একটি 
চ্যালেঞ্জিং পেশা, যেখানে প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সেই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় যুগোপযোগী শিক্ষা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং হাতেকলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে।v
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম লনম ল

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

দিনাজপুরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতের বিচার দাবি করেছেন পরিবার ও স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে ঘটনার পর বিরল ও কোতয়ালী উভয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে দিনাজপুরের সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা নামক এলাকার ৩ শিশুকন্যা বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের মাঝখানে যায়। এ সময় একই এলাকার এক ব্যক্তি ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে পার্শ্ববর্তী নদীর স্লুইচগেটের নিচে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিশুকন্যার সঙ্গে যাওয়া দুই খেলার সাথী চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীর জটলা সৃষ্টি হয়। পরে সেটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এরইমধ্যে কোতয়ালী থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এ সময় ওই অভিযুক্তের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।
 
শিশুটির বাবা জানান, কৃষিকাজ থেকে এসে তার মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার কথা শুনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারতে যান। সম্পর্কে খালু শ্বশুর হওয়ায় স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমাকে বলে। তবে এখন আমি চাই, আইন যেভাবে বলে সেভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
 
শিশুটির মা জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে যাওয়া দুই জন শিশু আমাকে জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে দাদা হওয়ায় ব্রিজের পাড়ে যেতে বলে। মেয়েটা যাওয়ার পর তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। ওই সময় ওই দুই মেয়ে চিৎকার শুরু করে।
 
সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) পাভেল ইমরান বলেন, এমন সালিশের কোনো বিধান নেই। আমি পুরো ঘটনা এখনও জানি না, দুই পক্ষের কাছেই শুনছি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করছি। 

ঘটনার পর ওই এলাকায় যান কোতয়ালী ও বিরল থানা পুলিশ। তবে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটি বিরল থানাধীন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানাতে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে শ্লীলতাহানি। ঘটনাস্থল বিরল থানাধীন হওয়ায় তাদের বিরল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। 

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছবুর জানান, এই ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিরল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ভিকটিমের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ