Samakal:
2025-03-16@23:59:18 GMT

হ্যাক বুঝবেন কীভাবে!

Published: 16th, March 2025 GMT

হ্যাক বুঝবেন কীভাবে!

নিজের শরীর নিয়ে মাথাব্যথা কম থাকলেও স্মার্টফোনের পরিচালন বিপত্তির পেছনে কারণ খতিয়ে দেখতে অনেকে আগ্রহী। আবার ছোটখাটো হ্যাকের ঘটনাও ঘটে নিত্যনৈমিত্তিক। সুরক্ষার প্রশ্নে স্বাভাবিক কিছু ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু বিশেষ নজর না দেওয়ার কারণেই ঘটে বিপত্তি। চিহ্নিত কয়েকটি কারণ নিয়ে লিখেছেন সাব্বিন হাসান

ঘুম ছাড়া স্মার্টফোন জীবনের নিত্যসঙ্গী। বিষয়টি গবেষণায় প্রমাণিত। নিজেরা যদি প্রশ্ন করি, তাহলে সদুত্তরে এমন তথ্য অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ডিজিটাল ডিভাইস বিশেষজ্ঞরা স্মার্ট গ্যাজেটস হ্যাক হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। যার মধ্যে অতিরিক্ত তাপ, বাড়তি কলচার্জ, অদ্ভুত ফোনকল, অনিয়ন্ত্রিত অ্যাডওয়্যার, বহুরূপী অ্যাপ ও ম্যালওয়্যার হগিং রিসোর্স অন্যতম কারণ হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছে।
ধারাবাহিক কয়েকটি লক্ষণ দেখলে নিজের ব্যবহৃত স্মার্ট ডিভাইস হ্যাক হয়েছে কিনা, তার ঠিকঠাক ধারণা পাওয়া সম্ভব।
ব্যবহৃত স্মার্টফোন হুট করে বহুমুখী অদ্ভুত সব আচরণ দৃশ্যমান করবে– ঘটনা এমন হলে শঙ্কা হতেই পারে যে ডিভাইসটি হ্যাক হয়ে গেছে, আর তা হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে। সাধারণত বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখলে মোবাইল হ্যাক হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব। ঠিক যেসব কারণে ডিভাইস হ্যাক হওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, সেসব কারণ শনাক্ত করলেই হ্যাক থেকে অনেকাংশে সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অতিরিক্ত তাপ
প্রথমত, ডিভাইসটি হ্যাক হলে তাতে ব্যাটারি খরচ তুলনামূলক ও অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া দৃশ্যমান হয়। কারণ, হ্যাক হলে ডিভাইসের ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ডিভাইস টানা ব্যবহার করলে স্মার্টফোন গরম হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ফোন গরম হওয়ার পেছনের কারণ ভিন্ন হতে পারে। বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করলে ডিভাইসে স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার উপস্থিতির প্রমাণ মিললে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।
বাড়তি কলচার্জ
ডিভাইস হ্যাক হলে সেখানে হুট করেই ডেটা খরচ বহুলাংশে বেড়ে যায়। ফলে বুঝতে হবে, আক্রান্ত ডিভাইস থেকে নিজের অজান্তে তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য প্রেরণে সক্রিয়। প্রিমিয়াম পরিষেবা বা আন্তর্জাতিক কলের জন্য চার্জ অনেকাংশে ও আগের তুলনায় নির্দেশনা ছাড়াই বাড়তি চার্জ কেটে নেওয়া।
অনিয়ন্ত্রিত অ্যাডওয়্যার
আবার ফোন হ্যাক হলে পপ আপ বা বিজ্ঞাপনের দৃশ্যমান মাত্রা আচমকা বহুলাংশে বেড়ে যায়। এমনকি কোনো ব্রাউজার ব্যবহার না করলেও ঘটনা এমন হতে পারে। অনেকে একে ‘অ্যাডওয়্যার’ সংক্রমণের লক্ষণ বলে চিহ্নিত করেছেন।
বহুরূপী অ্যাপ
ঘটনা এমনও হতে পারে, নিজের ডিভাইসে অচেনা অ্যাপ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ডাউনলোড হয়ে যেতে থাকে। যদি দৃশ্যমান পরিস্থিতি এমন হয়, তাহলে সেটা ফোন হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ।
হগিং রিসোর্স
কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ফোন আচমকা ধীরগতি (স্লো) হয়ে পড়েছে। এমনটা অনুভূত হলে বুঝতে হবে, ডিভাইসে ম্যালওয়্যার হগিং রিসোর্সের আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সর্বশেষ যা ঘটলে হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায়।
অদ্ভুত ফোনকল
অন্যদিকে, কোনো ফোন হ্যাক হয়ে গেলে বিশেষ বা অপ্রয়োজনীয় কোনো কোনো অ্যাপ নিজে থেকেই স্বয়ংক্রিয় রূপ ধারণ করে বা অন্যের কাছে নিজ থেকেই মেসেজ বা ফোনকল করে বসে। যদি পরিচিতজনের কাছ থেকে এমন অভিযোগ সামনে আসে, তাহলে বুঝতে হবে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হ্যাকার চক্র। তখন ঘটতে পারে যে কোনো ধরনের ক্ষতি। ঘটনাটা অনুমান করা সহজ নয়। তবে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই এমনটা ঘটেছে, তা নিশ্চিত হয়ে যাবেন। উল্লিখিত সব কারণ থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষা দিলে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য ক হওয় র হ য ক হল হ য ক হয় ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

দিনাজপুরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতের বিচার দাবি করেছেন পরিবার ও স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে ঘটনার পর বিরল ও কোতয়ালী উভয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে দিনাজপুরের সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা নামক এলাকার ৩ শিশুকন্যা বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের মাঝখানে যায়। এ সময় একই এলাকার এক ব্যক্তি ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে পার্শ্ববর্তী নদীর স্লুইচগেটের নিচে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিশুকন্যার সঙ্গে যাওয়া দুই খেলার সাথী চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীর জটলা সৃষ্টি হয়। পরে সেটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এরইমধ্যে কোতয়ালী থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এ সময় ওই অভিযুক্তের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।
 
শিশুটির বাবা জানান, কৃষিকাজ থেকে এসে তার মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার কথা শুনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারতে যান। সম্পর্কে খালু শ্বশুর হওয়ায় স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমাকে বলে। তবে এখন আমি চাই, আইন যেভাবে বলে সেভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
 
শিশুটির মা জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে যাওয়া দুই জন শিশু আমাকে জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে দাদা হওয়ায় ব্রিজের পাড়ে যেতে বলে। মেয়েটা যাওয়ার পর তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। ওই সময় ওই দুই মেয়ে চিৎকার শুরু করে।
 
সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) পাভেল ইমরান বলেন, এমন সালিশের কোনো বিধান নেই। আমি পুরো ঘটনা এখনও জানি না, দুই পক্ষের কাছেই শুনছি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করছি। 

ঘটনার পর ওই এলাকায় যান কোতয়ালী ও বিরল থানা পুলিশ। তবে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটি বিরল থানাধীন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানাতে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে শ্লীলতাহানি। ঘটনাস্থল বিরল থানাধীন হওয়ায় তাদের বিরল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। 

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছবুর জানান, এই ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিরল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ভিকটিমের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ