বিশ্বের প্রযুক্তিবিদ্যার মঞ্চে যেন বর্ণিল, বহুমাত্রিক আর হালকা গড়ন উদ্ভাবনের আবহ এখন। দুর্দান্ত ব্যাটারি সক্ষমতায় বৈচিত্র্য আসবে সব স্মার্ট ডিভাইসে...
বিশ্ব প্রযুক্তি মঞ্চে স্মার্ট ঘরানার উদ্ভাবনী পণ্য উপস্থাপনে সব ব্র্যান্ডই নিজেদের ভবিষ্যৎ সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। বর্ষসেরা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে সাড়া জাগানোর পর বাংলাদেশের প্রযুক্তি-ভক্তরা উদ্ভাবনী পণ্য পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। চলতি বছর তেমনই সব পণ্য সামনে এসেছে।
চলতি বছরে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) আসরে অংশ নেয় বিশ্বসেরা সব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। নিজস্ব ব্র্যান্ডের এআই ইকোসিস্টেমের পণ্য উন্মোচনের মাধ্যমে প্রযুক্তি-ভক্তদের সামনে উপস্থিত হয় টেকনো। জানা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী কানেক্টিভিটি ইভেন্ট হিসেবে পরিচিত এমন আয়োজনে যে কোনো ব্র্যান্ড এআই ইকোসিস্টেম থেকে কয়েকটি উদ্ভাবনী ও অত্যাধুনিক পণ্য প্রদর্শন করে। যার মধ্যে ক্যামন স্মার্টফোন সিরিজ, স্পার্ক স্লিম, ফ্যান্টম আলটিমেট টু ট্রাই-ফোল্ড, এআই গ্লাসেস প্রো ও মেগাবুক এস১৪ অন্যতম।
বিশ্বের অন্যতম হালকা ১৪ ইঞ্চি ওএলইডি ল্যাপটপ মেগাবুক এস ১৪ মডেল। ব্র্যান্ডের এটি প্রথম ওএলইডি ল্যাপটপ, যেখানে ২.
সর্বাধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি, ইন্টেলিজেন্ট ইন্টারেকশন ও মসৃণ ডিজাইনের কারণে নতুন এআই গ্লাসেস সিরিজ দর্শনার্থীর নজর কাড়ে। ৫০ মেগাপিক্সেল
হাই-ডেফিনেশন ক্যামেরা, ওভি৫০ডি সেন্সর সমন্বিত সিরিজে ১০০ ডিগ্রি আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল কাস্টম লেন্স আর এআই আইএসপি ইমেজিং চিপ ইমেজিং সিস্টেমকে অত্যাধুনিক মোবাইলের মতোই করেছে। কৃত্রিম (এআই) নয়েজ রিডাকশন ও এইচডিআর সক্ষমতা ব্যবহার করে উচ্চমান ও ঝকঝকে ছবি তোলার সুযোগ তৈরি হবে।
জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন স্পার্ক স্লিম। মাত্র ৫.৭৫ মিলিমিটার পুরুত্বের ডিভাইসে ৫০ মেগাপিক্সেল ডুয়েল ক্যামেরা ও ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। পাতলা ডিজাইনের হলেও মডেলের পারফরম্যান্সে তারতম্য হবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়
পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।
এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।
তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।
এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল