কিছুদিন আগে এম ফোর চিপযুক্ত ম্যাকবুক এয়ার ল্যাপটপের নতুন সংস্করণ ঘোষণা করেছে অ্যাপল। নতুন ম্যাকবুক এয়ার ১৩ ইঞ্চি ও ১৫ ইঞ্চি পর্দাবিশিষ্ট। নতুন ল্যাপটপ আসামাত্রই পুরোনো দুটি মডেলের ম্যাকবুক এয়ার মডেলের বিপণন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নিজেদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট থেকে দুটি ল্যাপটপ সরিয়ে নিয়েছে অ্যাপল। মডেল দুটি হলো ম্যাকবুক এয়ার এম টু ও এম থ্রি মডেল।
যদিও সারাবিশ্বের কয়েকটি
ই-কমার্স সাইট ও অফলাইন খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের এম টু ও এম থ্রি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যদি ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের এম টু ও এম থ্রি মডেলের গ্রাহক হয়ে থাকেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছে ম্যাকবুক এয়ার নির্মাতা অ্যাপল। কারণ, সফটওয়্যার ও সর্বশেষ নিরাপত্তার মানোন্নয়ন প্রশ্নে মডেল দুটিতে নিয়মিত আপডেট সক্রিয় করবে অ্যাপল। বাজার গবেষকরা বলছেন, বিপণন প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ আর পুরোনো মডেলের পরিবর্তে নতুন মডেলে ঢেলে সাজাতেই অ্যাপল এমন উদ্যোগ নিয়েছে। অতীত রেকর্ড ভেঙে তারা বছরের শুরুতেই অ্যাপল পণ্য বাজারে উন্মোচন করেছে। সুতরাং বছরজুড়েই এমন মডেল বিপণন বন্ধের ঘোষণা আসবে, তা প্রায় নিশ্চিত করেই অনুমেয়। যারা নতুন ম্যাকবুক কিনতে আগ্রহী বা ভাবছেন যে ম্যাকবুক এয়ার এম থ্রি, এম ফোর মডেলের মধ্যে কোনটা নির্বাচন করবেন, তাদের উদ্দেশে অ্যাপল বলছে, নতুন এম ফোর চিপযুক্ত ম্যাকবুক এয়ার গত বছর অবমুক্ত হওয়া ম্যাকবুক এয়ার এম থ্রি মডেলের তুলনায় দামে তুলনামূলক সাশ্রয়ী হবে। ম্যাকবুক এয়ার এম ফোর মডেল দুটি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। একটি মডেল ১৩ ইঞ্চি পর্দা, অন্যটি ১৫ ইঞ্চি পর্দাবিশিষ্ট।
অ্যাপল বিশ্লেষকরা বলছেন, আগের রীতিনীতি ভেঙে অ্যাপল এখন বাজেটবান্ধব হতে চলেছে। বৈশ্বিক বাজার প্রতিযোগিতায় নিজেকে দামের বিবেচনায় ঢেলে সাজাতে অ্যাপল ডিভাইস বিভাগ ও গবেষক দল কাজ করছে। সে কারণেই নতুন কোনো মডেলের সঙ্গে যদি আগের মডেলের দাম কাছাকাছি হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পুরোনো মডেলকে বিপণন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। কিছুদিন আগে আইফোনের আগের তিনটি মডেল বিপণন বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার বন্ধ হলো ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের দুটি মডেল। সামনে এমন আরও কিছু ঘোষণা আসবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অ য পল এম থ র এম ফ র ব পণন
এছাড়াও পড়ুন:
রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান নিয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
এর আগে, এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ থাকা কুয়েটের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন। কুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বেলা ৩টার দিকে আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে শ্রমজীবীদের পাঞ্জাবি উপহার
খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
সেখানে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।
তবে শিক্ষার্থীরা সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, হল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। তারা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসের দুটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী