বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সম্মেলনে ‘আলট্রা’ ফোনের কনসেপ্ট ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। ডিভাইসের প্রটোটাইপ ‘ইন্টারচেঞ্জঅ্যাবল লেন্স সেটআপ’ প্রযুক্তির মতো অত্যাধুনিক চমক দিয়েছে।
নব্য ঘরানার স্মার্টফোনে থাকবে প্রোপাইটরি লেন্স মাউন্ট সিস্টেম। সঙ্গে যুক্ত এক ইঞ্চি কাস্টমাইজড সনি সেন্সর, যা সরাসরি ডিএসএলআর লেন্সের সঙ্গে স্মার্টফোন যুক্ত করার অভিনব সুযোগ করে দেবে। অন্যদিকে থাকবে ৭৩এমএম পোর্ট্রেট এবং ২৩৪এমএম টেলিফটো বৈশিষ্ট্যের দুটি
প্রো-লেভেল লেন্সেস।
ক্রিমি বোকেহসহ ১০ গুণ জুম ডিভাইসের স্বচ্ছতা দেবে, যা মোবাইল ডিভাইসের উন্নয়নে ধারাবাহিকতায় হবে নতুন সংযোজন। ব্র্যান্ডটি বার্সেলোনা সম্মেলনে তিন বছরের কর্মকৌশল ও পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। ‘মিড থেকে হাইঅ্যান্ড’ চাহিদার গুরুত্ব বুঝে নির্মাতা ব্র্যান্ড বৈশ্বিক গ্রাহক সংখ্যা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
রিয়েলমির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিএমও চেজ জু বলেন, প্রবৃদ্ধির নতুন সময়ে টেকসই শর্ত অর্জনে গ্রাহকের চাহিদা পূরণে সময়োপযোগী উদ্ভাবনে প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছি। নিত্যনতুন কৌশলগত পরিকল্পনায় শুধু বাজার সম্প্রসারণেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তা নয়; বরং প্রযুক্তির জনপ্রিয়তার মাধ্যমে তা তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। প্রযুক্তি খাতে প্রতিনিয়ত ভোক্তার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে চলেছি।
অন্যদিকে, নেক্সট এআই উদ্যোগের মাধ্যমে এআই ইমেজিং, এআই এফিশিয়েন্সি এবং এআই গেমিংয়ের মাধ্যমে মানোন্নত, সহজলভ্য ও ব্যবহারযোগ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সরবরাহে গুরুত্ব দিয়েছে ব্র্যান্ডটি। আগামী তিন বছরে বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি এআই স্মার্টফোন সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে ব্র্যান্ডটি। তা ছাড়া জিটি সিরিজ, নম্বর সিরিজ, সি সিরিজ ও অন্য সব গ্রাহককে সেরা চিপসেট ও ব্যাটারির অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে গবেষণা বিভাগ।
ভবিষ্যতে আইকনিক আইপিএর সঙ্গে কাজ করে ইন্ডাস্ট্রির অন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে কাজ করবে ব্র্যান্ডটি। অন্তত একটি আইপির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, যা তরুণদের ভাবনাকে গভীরভাবে মূল্যায়ন ও তাদের অনুপ্রাণিত করবে। ২০২৫ সালে জনপ্রিয় বিনোদন ও লাক্সারি আইপির সঙ্গে অংশীজন হয়ে সৃজনশীল ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করা ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য।
সি সিরিজ ভাবনায় ‘বেটার টেক ফর ইয়ুথ’ দীর্ঘস্থায়ী ও নির্বিঘ্ন পরিষেবার প্রতিশ্রুতি দেয়, যা একই দামের স্মার্টফোনের মার্কেটে নতুন চ্যালেঞ্জ রূপে দৃশ্যমান।
তরুণদের ভেতরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে ব্র্যান্ডটি সবকটি স্মার্টফোন মডেলে এআই প্রযুক্তিকে ব্যবহারবান্ধব করে পরবর্তী প্রজন্মকে সীমাহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে প্রবেশ করানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ নকল ব র য ন ডট ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী, বেড়েছে চালের
পবিত্র রমজানের বাজারে বেশিরভাড় পণ্যের দাম নিম্নমুখী। তবে বাজারে কিছু কিছু চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, ভালোমানের সরু চাল কিনতে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি চাল ৭০ থেকে ৭৬ টাকা আর মোটা চালের দাম ৫৮ থেকে ৬২ টাকা।
চালের খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে তিনদফা বেড়েছে চালের দাম। এই সময় কেজিপ্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। এরমধ্যে শুধু একদফা দুই-এক টাকা কমেছিল।
কাওরান বাজারের চাল ব্যবসায়ী রুস্তম শেখ বলেন, চালের দাম গত এক সপ্তাহে আবারও কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়েছে। রশিদ, উৎসব ডায়মন্ড, মোজাম্মেল ইত্যাদি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সরু মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা বেড়েছে। এই চাল ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা কেজি পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আসলে ৮০ টাকার নিচে কোনো ভালো মানের চাল পাওয়া যায় না। আর বড় বড় ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম আরও বেশি, ৯০ থেকে ৯২ টাকার আশপাশে। ফলে মধ্যম আয়ের মানুষকে ৮০ টাকা কেজি চাল কিনতে হচ্ছে।
মোটা চালের দামও কম নয়। মোহাম্মদপুর, কাওরান বাজার, হাতিরপুল, রামপুরা ঘুরে দেখা যায়, ৫৮ টাকায় মোটা সেদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে। একটু ভালোমানের মোটা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তবে বেশি পরিমাণে নিলে দু-এক টাকা কম দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতো স্থিতিশীল দেখা গেছে, কিছু পণ্যের দাম নিম্নমুখীও। রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল এখন তা-ও কমেছে। খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বোতলজাত তেলের সরবরাহে এখনও কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে।
রামপুরা বাজারে চঞ্চল ট্রেডার্সের বেলাল হোসেন বলেন, খোলা সয়াবিনের সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। বোতলজাত তেলও দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। তবে চাহিদার তুলনায় কম। আগে যে তেল পাওয়াই যাচ্ছিল না, তেমন আর নেই।
লেবু, শসা ও বেগুনের মতো বাড়তি চাহিদার পণ্যগুলোর দাম কমছে। আগে বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য সবজির বাজার আগের মতো থাকলেও ঢেড়স ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দর কমেছে। প্রতি কেজি ঢেড়স ৬০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গত বছর উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজেরও ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি ভালোমানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ টাকা। যেখানে গত বছর এ সময় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেক কমে এখন ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মোটাদাগে বলতে গেলে এ বছর পবিত্র রমজানে বেশ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে মুদিপণ্যের দাম। রোজা শুরুর আগেই বাজারে যে অরাজকতা এবার দেখা যায়নি। এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর, ডালের দাম কম রয়েছে।