ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে : সাখাওয়াত
Published: 16th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ৫ আগষ্টের পরে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার রয়েছে তাদের কাছে এদেশের মানুষের চওয়া হলো গনতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত করা। সেইসাথে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং ফ্যাসিস্ট দোসরদের আইনের আওতায় এতে বিচারের সম্মুখিন করা।
এই ৭ মাসে এই সরকার দ্বারা যে ধরনের পরিবর্তন কাম্য ছিল, তা পূরন হয়নি। সমস্ত রাজনৈতিক দল সহ দেশের আপামর জনসাধারণের একমাত্র ইচ্ছা হল ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গনতান্ত্রিক ধারা দেখতে চাই।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (১৬ মার্চ ) শহরের টানবাজার এলাকায় পদ্মা সিটি প্লাজায় এ আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের সভাপতিত্বে এবং বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর ধরে হেলিকপ্টার বানাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী আরিফুল, তিন সপ্তাহের মধ্যে আকাশে ওড়ানোর স্বপ্ন
শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন।
আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।
কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।