সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ভিকটিমের পাশে এডভোকেট আসমা হলেন বিথি
Published: 16th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় ধর্ষণের চেষ্টা মামলার ভিকটিমের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইন সহায়তা সেল (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এর সদস্য এডভোকেট আসমা হেলেন বিথি।
রবিবার (১৬ মার্চ) ৪ বছরের শিশুটিকে ২২ ধারার জবানবন্দির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আনা হলে শিশুটির পরিবারের পাশে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করেন এডভোকেট আসমা হেলেন বিথী। শিশুটির জবানবন্দীর শেষে শিশুটিকে পরিবারের কাছে যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কতৃক গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইন সহায়তা সেল (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এর সদস্য এডভোকেট আসমা হলেন বিথি জানান, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ভিকটিম শিশুটির পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তা চাইলে আমি পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করি এবং তাদেরকে সব রকম আইনি সহযোগিতা প্রদান করি এবং ভবিষ্যতে সকল প্রকার আইনি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করি।
উল্লেখ থাকে যে, গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ৪ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা পোশাককর্মী। চাকরির সুবাদে তারা বাচ্চাকে পাশের বাসার এক নারীর কাছে রেখে যান। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির উঠানে বাচ্চাটি খেলাধুলা করছিলো। এ সময় তাকে একা পেয়ে খাবারের লোভ দেখিয়ে কৌশলে এক রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মনসুর আলী।
এ সময় ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি টের পেয়ে যাওয়ায় বাচ্চাটি রক্ষা পায়। রাতে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তকে ধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ন র য ণগঞ জ পর ব র সহ য ত র আইন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান তিতুমীর শিক্ষার্থীদের
তিতুমীর কলেজকে ঢাকার সাতটি কলেজের সঙ্গে একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের প্রশাসনিক কাঠামোর প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিতুমীর কলেজকে কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
রোববার সন্ধ্যায় কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেনের সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে নতুন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভায় আমাদের কলেজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও চারজন প্রতিনিধির মধ্যে তিনজনই অকুণ্ঠচিত্তে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট ও সম্মতি ব্যতীত তারা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজি নয়। একইসঙ্গে এ ধরনে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত স্বার্থান্বেষী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের মিটিংকে প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি আরও বলেন, অনুপস্থিত তিনজন শিক্ষার্থীর নাম যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. মেহেদী হাসান। অন্যদিকে, একজন প্রতিনিধি রেজায়ে রাব্বি জায়েদ, সভায় উপস্থিত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবির পক্ষে অবিচল থাকার ঘোষণা দেন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি, ঐতিহ্য, আত্মপরিচয় ও মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন। প্রাতিষ্ঠানিক স্বকীয়তা রক্ষায় তারা সবসময় প্রস্তুত। আমরা যেকোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এর আগে, গতকাল দুপুরে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম চূড়ান্ত করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সাতটি সরকারি কলেজ হচ্ছে— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।