এত গুণী শিল্পী বেকার বসে আছেন, ধারণাই ছিল না: নায়িকা রত্না
Published: 16th, March 2025 GMT
‘এফডিসির শিল্পী সমিতির যাঁদের কেউ অভিনয়ে ডাকেন না, তাঁদের নিয়েই কাজ করছি। বঞ্চিতদের আমি তুলে ধরতে চাই। তাঁদের পথচলায় সহযোগিতা করতে চাই।’ কথাগুলো চিত্রনায়িকা রত্নার। এই অভিনেত্রী এবার এফডিসির পার্শ্বচরিত্রের বঞ্চিত অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে শুরু করেছেন নাটক প্রযোজনার কাজ। একই সঙ্গে তিনি অভিনয়ও করেছেন। ঈদে ‘প্রতিবাদী নারী’ ও ‘ঝগড়াটে পরিবার’ নাটকে তাঁকে দেখা যাবে।
রত্না কবির জানান, বিভিন্ন সময় সিনেমায় তাঁর সঙ্গে সহ–অভিনয়শিল্পী হিসেবে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়েই তাঁর এই নতুন যাত্রা। তিনি বলেন, ‘এফডিসির অনেক শিল্পীর মেধা থাকা সত্ত্বেও কাজে ডাক পান না। তাঁদের নিয়েই আমরা কাজ করছি। আমার নাটক ও চ্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের প্রোমোট করতে চাই। এতে যদি আমি লাভবান হই, তাহলে শিল্পীদের মধ্যে সেটা ভাগ করে দেব। আমি কাউকে বঞ্চিত করব না।’
সহশিল্পীদের সঙ্গে রত্না। ছবি: শিল্পীর ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভুল চিকিৎসায়’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে স্বজনদের ভাঙচুর
কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ ইমরান হোসেন নামে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
রোববার রাতে কুমিল্লা নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকার ট্রমা সেন্টার নামের একটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ইমরান হোসেন নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইমরানের মা নাজমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, বুকের অসুখ জনিত কারণে গত ১৫ দিন আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ইমরান হোসেন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল। গত বুধবার তার অপারেশনের জন্য পুনরায় তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক আতাউর রহমান গত শনিবার ইমরান হোসেনের অপারেশন করেন। তার অভিযোগ ‘ভুল চিকিৎসার’ কারণে রোববার বিকেলের দিকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা অবস্থায় ইমরান হোসেন মারা যান।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, ইমরান আইসিইউতে মারা যাওয়ার পরও সে জীবিত আছে বলে দুইবার প্রায় ২৭ হাজার টাকার ওষুধ নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর মৃত্যুর পরও দেখতে না দিয়ে রোগী বেঁচে আছে বলে জানিয়ে আরও প্রায় তিন লাখ টাকার বিল হাতিয়ে নেয়।
পরে রাতে একপর্যায়ে ইমরানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ওই হাসপাতালের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য রোগীরা ছুটাছুটি শুরু করে। রাত সোয়া এগারোটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০তলার হাসপাতালটির কয়েকটি ফ্লোর অন্ধকারে ছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।