মাগুরার সেই শিশুটিকে ধর্ষণের দায় একাই নিচ্ছেন তার বোনের শ্বশুর। অবশ্য এই মামলার বাকি তিন আসামির পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাকে হত্যার চেষ্টায় শামিল হয় তার ভগ্নিপতি। ওই সময় শিশুটির বোন রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

ধর্ষণের মামলায় দোষ স্বীকার করে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন মাগুরার সেই শিশুটির বোনের শ্বশুর।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে যৌতুকের জন্য নববধূকে হত্যা, শ্বশুর গ্রেপ্তার

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলি, নিহত ১

রবিবার (১৬ মার্চ) আদালত সূত্রে ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

৬ মার্চ সকালে শিশুটির বোনের শ্বশুর তাদের ঘরে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে সারা দেশে তোলপাড় হয়। গ্রেপ্তার হন আসামিরা।

গত শনিবার বিকেলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় ওই আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবাবন্দিতে তিনি বলেন, ৬ মার্চ সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তার ছোট ছেলের (বোনের স্বামী) কক্ষে শিশুটিকে একা শুয়ে থাকতে দেখে ঘরে ঢুকে পড়েন তিনি। শিশুটি চিৎকার করলে তার গলা চেপে ধরেন। 

শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ব্লেড দিয়ে শিশুটিকে ক্ষতবিক্ষত করেন। শিশুটিকে অচেতন ফেলে রেখে মাঠে কাজ করতে চলে যান। ঘটনার সময় বাড়ির অন্য সদস্যরা যে যার কাজে বেরিয়েছিলেন। আর শিশুটির বোন বাড়ির এক কোণে রান্নাঘরে মোবাইল ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলেন।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর শিশুটির বোন ঘরে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় প্রতিবেশী এক নারী ওই বাড়িতে আসেন। তারা শিশুটিকে অচেতন দেখে তার মাথায় পানি ঢালেন। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে শিশুটির বোনের শাশুড়ি বাড়িতে এসে প্রথমে শিশুটিকে স্থানীয় এক কবিরাজের বাড়িতে নেন। সেখান থেকে নেওয়া হয় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে মামলার বাদী শিশুটির মায়ের এজাহারের অমিল রয়েছে। বাদী বলেছিলেন, ঘটনা ঘটেছে রাতে। অবশ্য এজাহারে তিনি এ–ও উল্লেখ করেছিলেন, বিয়ের পর থেকে তার বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মেয়ের শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে।

১ মার্চ মাগুরার শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। জানাজা শেষে উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।

এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা।

 মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে প্রধান আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিন আসামির রিমান্ড চলছে।

রবিবার দুপুরে মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা সদর থানায় সাংবাদিকদের বলেন, মামলার অন্যতম আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিন আসামির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

শাহীন/মাগুরা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়ামালকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত রেসলিং কিংবদন্তি বললেন, ‘বার্সার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’

এ সময়ের ফুটবলে পোস্টার বয়দের একজন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার এই উইঙ্গার মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তারকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ইয়ামালের ওপর ভর করেই এখন সাফল্য পেতে উন্মুখ স্পেন ও বার্সা। তবে ইয়ামাল শুধু ফুটবলে নয়, প্রভাব রাখছেন ফুটবলের বাইরেও।

গতকাল শুক্রবার বার্সেলোনায় ডব্লুডব্লুই স্ম্যাকডাউনে উপস্থিত হয়েও বেশ আলোড়ন তুলেছেন এই স্প্যানিশ তরুণ। যেখানে তাঁকে ডব্লুডব্লুইর চ্যাম্পিয়নের বেল্ট হাতেও দেখা গেছে।

এই বেল্টটি তাঁকে উপহার দিয়েছেন ডব্লুডব্লুই চ্যাম্পিয়ন কোডি রোডেস। পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে কথা বলেছেন কিংবদন্তি রেসলার ট্রিপল এইচও। এ সময় ইয়ামালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দুই সতীর্থ আলেহান্দ্রো বালদে ও হেক্টর ফোর্ট।

আরও পড়ুনমেসির ‘ধনুক’ পেয়েছেন ইয়ামাল১২ মার্চ ২০২৫

রেসলিং উপভোগ করতে গিয়ে কিংবদন্তি রেসলার ট্রিপল এইচের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন ইয়ামাল। পরে এই ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইয়ামালের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে ট্রিপল এইচ লিখেছেন, ‘বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি উজ্জ্বল। শোটা উপভোগ করো লামিনে।

একই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে পোস্ট করেছেন ইয়ামালও। ট্রিপল এইচের পাশাপাশি ইয়ামালেরর আগমন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশক করেছেন আরেক রেসলিং তারকা ড্রু ম্যাকইনটায়ার। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দ্য চুজেন ওয়ান (নিয়তি নির্ধারিত ব্যক্তি)’।

মূলত ইউরোপিয়ান ট্যুরের অংশ হিসেবেই বর্ত

আরও পড়ুন‘ইয়ামালের ভালো চাইলে মেসির সঙ্গে তুলনা করা কমান’০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মানে ডব্লুডব্লুই আছে স্পেনের বার্সেলোনায়। এরপর তারা যাবে বেলজিয়াম, জার্মানি এবং স্কটল্যান্ডে। এরপর লন্ডনে গিয়ে ও’টু অ্যারেনায় আয়োজন করবে দুটি ব্লকবাস্টার ইভেন্টের। ২৮ মার্চ হবে স্ম্যাকডাউন এবং ৩১ মার্চ থাকবে আরএডব্লিউ (র) এর আয়োজন। সেখান থেকে তাদের গন্তব্য লাস ভেগাসে। যেখানে ১৯ এবং ২০ এপ্রিল হবে বছরের সবচেয়ে বড় আয়োজন রেসেলম্যানিয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরগুনার সেই পরিবারটির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান, পাশে থাকার আশ্বাস
  • মাগুরার শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা, বোন ছিলেন রান্নাঘরে
  • কখন আসছেন হামজা, গন্তব্য কোথায়?
  • দেশে বয়ে চলেছে বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ
  • ‘পোলারে মাইর্যা ফালাইছে, নাতনিডার জীবনও শ্যাষ করলো’
  • দুর্নীতি মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রের জামিন নামঞ্জুর 
  • ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পি‌টিয়ে হত্যা, প‌রিবা‌রের দাবি পূর্বশত্রুতা
  • বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি, সন্ধ্যায় মৃত্যু
  • ইয়ামালকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত রেসলিং কিংবদন্তি বললেন, ‘বার্সার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’