মুন্সীগঞ্জে অবৈধ চুনা কারখানায় অভিযান, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
Published: 16th, March 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জর গজারিয়া উপজেলার দুইটি চুনা কারখানায় অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানা দুইটি গুঁড়িয়ে দেয় তারা। এই কারখানাগুলোতে প্রতি মাসে প্রায় ৬৮ লাখ টাকার গ্যাস ব্যবহার করা হতো বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
অভিযান শেষে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ বলেন, “গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে পরিচালিত হয় এমন কিছু ঢালাই লোহা এবং চুনা কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার ব্যাপারে খবর পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আজকে আনারপুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুইটি অবৈধ চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো।”
আরো পড়ুন:
ভবনে ঢুকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন ব্যাটারি বাবু!
গোপালগঞ্জে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে দুদক
তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আজকে আমরা ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি অবৈধ চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। পাশাপাশি কারাখানা দুইটির সব স্থাপনা এক্সেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কারখানার দুটিতে প্রতিমাসে ৬৮ লাখ টাকার গ্যাস ব্যবহার করা হতো।”
অভিযানের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম রনি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা দেয় গজারিয়া থানা পুলিশ।
ঢাকা/রতন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন উপজ ল সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
এবার সতীর্থ আলবাকে কামড়ে দিলেন সুয়ারেজ
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লুইস সুয়ারেজ। ওই দলে আছেন তাদের বার্সার সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটস।
এর মধ্যে লস এঞ্জেলেসের বিপক্ষে গত ১০ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে ছিলেন সাবেক বার্সা ত্রয়ী মেসি-সুয়ারেজ ও আলবা। ম্যাচটি ইন্টার ৩-১ গোলে জিতেছে।
ওই ম্যাচের ৮৯ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা গেছে সতীর্থ জর্ডি আলবার আঙুলে কামড়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ।
ভিডিওতে দেখা যায় জটলার মধ্যে সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে জোরে চাপ দেন সুয়ারেজ। এতে ব্যথা পেয়ে আলাবা তার হাত উঁচু করলে আঙুলে কামড়ে দেন সাবেক বার্সা ও উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ধারণা করা হচ্ছে, সুয়ারেজ মনে করেছিলেন আঙুলটা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের।
ওই সময় আলবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাবেক চেলসি ও এসি মিলানের ফ্রান্স স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। এটি সুয়ারেজের ফুটবল ক্যারিয়ারে মাঠে চতুর্থবার কামড়ের ঘটনা।
তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে কামড় কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিলেন। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে তিনি ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ে দিয়েছিলেন। দাঁতের দাগ পর্যন্ত বসে গিয়েছিল ইতালির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের কাঁধে।
এর আগে ২০১০ সালে আয়াক্সে খেলাকালীন এই স্ট্রাইকার উসমান বাক্কালকে কামড়ে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে লিভারপুলে খেলার সময় চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিককে কামড়ে ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। কিয়েল্লিনিকে কামড়ের ঘটনায় তিনি ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার সতীর্থকে কামড় দেওয়ায় তিনি নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।