যশোরে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদলের ২ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 16th, March 2025 GMT
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপাড়া গ্রামের একটি লিচু বাগানে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ৯৯৯ কল দিলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার ও মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্ধ্যায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেন।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি রিমান্ডে
রাজশাহীতে ৯ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’, অভিযুক্ত কারাগারে
গ্রেপ্তাররা হলেন, পটুয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (২২), একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেন (২৮), শরিফুল ইসলামের ছেলে মামুন হোসেন বাপ্পি (২১) ও উজ্জল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান (২০)। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মামুন হোসেন বাপ্পি গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ইয়াসির আরাফাত দপ্তর সম্পাদক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের রাজগঞ্জ গ্রামের ওই তরুণ বেনাপোল খালার বাড়ি থেকে বাসযোগে ফেরার পথে দুপুরে গদখালী বাজারে ফুল কিনতে নামে।
সেখানে গদখালী বাজারের ফুলের দোকানদার আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে চার যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে ওই তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুল বাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনের লিচু বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ধর্ষণের ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি বাবলুর রহমান খান।
ঢাকা/রিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন গদখ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার সাবেক প্রেমিক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া মেটানোর কথা বলে বাসায় ডেকে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক প্রেমিক নয়ন মোল্লা (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। পরে উপজেলার আব্দুল্লাপুরে নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়ন আব্দুল্লাপুর এলাকার মৃত সায়েন মোল্লার ছেলে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার নয়ন ভুক্তভোগী তরুণীর সাবেক প্রেমিক। নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলে সিয়াম নামের আরেক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই তরুণী। সম্প্রতি সিয়ামের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮ এপ্রিল তরুণীকে বাসায় ডাকেন নয়ন। বাড়িতে তখন কেউ না থাকায় নয়ন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে আগে থেকে লুকিয়ে ছিলেন নয়নের সহযোগী মো. জীবন শেখ (২০), আপন বেপারীর (১৯), আরমান (১৮), মিরাজ (১৯)। তার লুকিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। পরে সে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নয়নের সহযোগীরাও তাকে ধর্ষণ করেন। দুই দিন নয়ন ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ঘটনা জানাজানি হয়। পরে রাতেই ভুক্তভোগী বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, এটি পরিকল্পিত ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগের পর রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মূলত অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় তরুণীর উপর ক্ষুব্ধ ছিল নয়ন।