বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ‍“হাসিনা চলে গেছে কিন্তু ষড়যন্ত্র যায়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, গত ১৫ বছর যারা আমাদের মধ্যে ছিল না, যাদের কখনো কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে দেখিনি তাদের ঘাড়ের ওপরে সওয়ার হয়ে আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে চাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এখনো আমরা ভোটাধিকার পাইনি। শেখ হাসিনা নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছিলেন। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সর্বাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।”

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ফখরুল 

ঝিনাইদহে বিএনপির ১৫ হাজার নেতাকর্মীর ইফতার

শামা ওবায়েদ বলেন, “আমাদের ১৭ বছরের যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। উনাকে অন্যায়ভাবে ছয়টি বছর মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। বন্দি অবস্থায় উনাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলেও আমরা শুনতে পেয়েছিলাম। উনাকে বলা হয়েছিল- আপনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান তাহলে আপনাকে জামিন দেওয়া হবে। তারপরেও উনি স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করেননি। বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় স্যাক্রিফাইসটা (আত্মত্যাগ) করেছেন খালেদা জিয়া।”

ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফজলুল হক টুলু ও আজম খান, ড্যাবের জেলা শাখার সভাপতি ডা.

মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

মিফতাহ সিদ্দিকীর ইফতার মাহফিলে সিলেটে সুধীজনদের মিলনমেলা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় এতিম, রাজনীতিবীদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। 

রোববার সিলেট নগরীর একটি অভিজাত কনভেনশন হলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলটি বিভাগের চার জেলার বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খছরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিষ্টার এম.এ সালাম, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক সাজেদুল করিম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি আশরাফুল আলম, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব চৌধুরী মামুন আকবর, সম্মিলিত পোশাজীবী পরিষদ, সিলেটের আহ্বায়ক ডা. শামীমুর রহমান, সদস্য সচিব ডা. শাহনেওয়াজ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, সদস্য সচিব আব্দুর রহমান রিপন, হবিগঞ্জের জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, সাবেক আইজিপি (প্রিজনস) বিগরেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইফতেখারুজ্জামান, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আজমল হোসেন কুনু, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, মহানগর খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান তাপাদার, মহানগর এবিপার্টির আহবায়ক ওমর ফারুক, সদস্য সচিব রেজাউল করিম সোয়েব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল্লা আল গালিব প্রমুখ।

ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, মানুষ দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রতীক্ষায় রয়েছে। এসময় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরী সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি জানান তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ