বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুই বন্ধু ফাহমিদা আখতার ও কাকলী তানভীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিন দশকের পুরনো দুই সই (বন্ধু) গড়ে তুলেছেন ‘ওলো সই’ নামের দেশীয় পোশাকের প্রতিষ্ঠান। ওলো সই-তে মূলত শাড়ির আয়োজনই প্রধান। 

দেশীয় তাঁতের শাড়ি সম্প্রসারণে তারা রাখতে চান বিশেষ ভূমিকা। আসন্ন ঈদকে ক্রেতাদের কাছে রঙিন করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন ফাহমিদা আর কাকলী। বাংলার তাঁতকে বিশেষ গৌরবময় মোটিভ আর নকশার কারুকাজ দিয়ে ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরছেন তারা।

ক্রেতাদের কাছে সহজেই শাড়ি এবং অন্য পণ্য পৌঁছে দিতে রাজধানীর লালমাটিয়াতে যেমন শোরুম করেছেন একইভাবে নিজেদের ফেসবুক পেইজেও সাজিয়েছেন পণ্যের পসরা।

ক্রেতারা শোরুমে গিয়ে যেমন পণ্য পরখ করে নিতে পারছেন আবার অনলাইনেও অর্ডার করতে পারছেন। ওলো সইয়ের এবারের ঈদ আয়োজনে দেখা গেলো খাদি, সিল্ক, তন্তুজ, মটকা, তসর, লিনেন, মসলিন, টাঙ্গাইল এবং মনিপুরী শাড়ি। আরও রয়েছে মনিপুরী ওড়না।

ফাহমিদা আখতার জানান, হ্যান্ডলুম শাড়িই বেশি বিক্রি করেন তারা। তবে চলতি বছরে খাদি, তাঁতের সুতি শাড়ি এবং মনিপুরীর চাহিদাও বেশ ভালো রয়েছে।

আগের বছরগুলোতে সুতি, লিনেন ও মটকার চাহিদা বেশি ছিল বলে জানান তিনি। 

ফাহমিদা বলেন, ‘আমরা আসলে দেশীয় শাড়িকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সে কারণে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, সিলেট, সিরাজগঞ্জের তাঁতীদের কাছ থেকে মূলত আমরা শাড়ি সোর্স করেছি।’

ওলো সই-এর শাড়ির দরদাম সম্পর্কে কাকলী তানভীর জানান, সুতি শাড়ির দাম পড়বে আড়াই হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। লিনেন পাঁচ হাজার থেকে শুরু হয়ে আছে সাড়ে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত। সিল্ক ও মটকা শাড়ির দাম পড়বে সাড়ে সাত হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। সিলেটের মনিপুরী শাড়ির মূল্য এক হাজার ৭’শ টাকা থেকে সাড়ে নয় হাজার টাকার মধ্যে।
 
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময়ের আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে সেটি বিবেচনায় রেখেছি আমরা। ঈদের দিন সকালে খাদি শাড়ি আরাম দেবে। আর বিকালে তন্তুজ জামদানি ভালো অনুভব দেবে।’

শোরুমের ঠিকানা: ৩/২ (তৃতীয় তলা), ব্লক ডি, লালমাটিয়া, ঢাকা।

ফেসবুক পেইজে অর্ডার করতে চাইলে: https://www.

facebook.com/share/1AFQc4ZtNE/
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন প র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ধর্ষণ’ শব্দ বাদ দেওয়া নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের

‘ধর্ষণ’ শব্দ পরিহার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) ক‌মিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ধর্ষণ শব্দটি পরিহার নিয়ে ডিএম‌পি ক‌মিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আট বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী, যার সঙ্গেই হোক না কেন—ধর্ষণ ধর্ষণই। এমন জঘন্য অপরাধকে অবশ্যই যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো “ধর্ষণ”। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা “নারী নির্যাতন” বা “নিপীড়ন” বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।’

আরও পড়ুন‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের১৫ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ