রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসের একটি সড়ক থেকে একটি গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই সড়কের অবস্থান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বলে জানিয়েছেন চুরি হওয়া গাড়ির মালিক আতিকুল সালাম।

ভুক্তভোগী আতিকুল সালাম বলেন, ১২ মার্চ মধ্যরাতে এক ব্যক্তি বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার ১২ নম্বর সড়ক থেকে গাড়িটি নিয়ে বারিধারা ডিওএইচএসের স্কুলগেট দিয়ে বেরিয়ে যান। এই এলাকার ১ নম্বর সড়কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বাসা। আর তাঁর গাড়িটি চুরি হয়েছে ১২ নম্বর সড়ক থেকে। ১ নম্বর সড়ক থেকে ১২ নম্বর সড়কের দূরত্ব এক কিলোমিটারের চেয়েও কম। বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় সব সময় কড়া নিরাপত্তা থাকে। অপরিচিত কেউ এই এলাকায় ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন। অথচ এই এলাকা থেকে গাড়ি চুরির পর সেটি নিয়ে চোর নির্বিঘ্নে বেরিয়ে গেছেন। গাড়িটির বর্তমান মূল্য ১০ লাখ টাকা।

নিজের গাড়ি থেকে নেমে এক মিনিটের মধ্যে এই গাড়ির তালা খুলে ফেলেন চোর। পরে অন্য একটি সড়কে নিজের গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে এসে গাড়িটি নিয়ে যান তিনি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল

মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।

গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।

এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।

মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ