ফেনীতে পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক
Published: 16th, March 2025 GMT
ফেনীতে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা। তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ আল নোবেল। তিনি শহরের রামপুর এলাকার এনামুল হকের ছেলে। নোবেল ফেনী পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
আরো পড়ুন:
যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০, থানায় অভিযোগ
দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নোবেল ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটের টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আজ দুপুরে ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে পরীক্ষা দিতে আসলে তাকে আটক করেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটের ছাত্র প্রতিনিধি সালাউদ্দিন বলেন, আটক নোবেল গত বছরের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। সেদিনের হামলার বিভিন্ন ছবি-ভিডিওতে তার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া এতোদিন তিনি ক্লাসে আসেননি। আজ পরীক্ষার সুবাদে ক্যাম্পাসে আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, “ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে(নোবেল) আটক করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নয়ন চন্দ্র দাস (২৬) নামে এক নববিবাহিত যুবককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে এবং বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কারও কাছে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম সমকালকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে নয়ন দাস নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন তারা। কয়েকটি সূত্র ধরে অপহরণকারীদের খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এটি অপহরণ নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা জানতে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
অপহৃত যুবকের মা রত্না রানী দাস বলেন, আমার ছেলে মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেছে। তার একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান আছে। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে দোকানে যাওয়ার পরপরই কিছু অপরিচিত লোক মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে আসে। নয়নের নাম জানতে চেয়ে তারা দোকানের ঠিকানা নিশ্চিত করে। এরপর দোকানে গিয়ে নয়নকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ।
নয়নের বাবা জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা সোমবার সকালের মধ্যে দিতে হবে, নইলে নয়নকে আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর শাহ বলেন, প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা দ্রুত নয়নকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।