দেশে বয়ে চলেছে বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ
Published: 16th, March 2025 GMT
দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে কষ্ট বেড়েছে রোজাদারদের। চৈত্রের শুরুতে গরম বেড়েছে রাজধানী ঢাকায়ও। এ অবস্থা আগামীকাল সোমবারও চলবে। এরপর হালকা বৃষ্টির মধ্য দিয়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার দেশে এ বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে কুষ্টিয়ায়। অন্যদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী জেলায়। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
এরপর ২০ মার্চ মৃদু থেকে মাঝারি মানের তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানান বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার এ সময় তাপমাত্রা কম। সচরাচর এপ্রিল মাসেই সর্বাধিক তাপমাত্রা থাকে। তবে এবার গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে তাপমাত্রা কম থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দেশে মৌসুমের প্রথম এই তাপপ্রবাহের সময় রাজধানীতেও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। এ বিষয়ে ধানমন্ডির বাসিন্দা আদিবা নুসরাত প্রথম আলোকে বলেন, এই গরমে বাইরে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাসায় এসে ইফতারি তৈরি করতে খুব কাহিল লাগে। গরমে বিশেষ করে ঘরের বয়স্কদের কষ্ট বাড়ছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক লেনিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ সময় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শরীরে পানির চাহিদা বাড়ে। রোজাদারদের জন্য পরামর্শ থাকবে, একসঙ্গে বেশি পানি পান না করে ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণে পানি পান করা ভালো।
এ সময় কৃত্রিম রং মেশানো পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, সারা দিন রোজা রেখে রাসায়নিক পদার্থমিশ্রিত পানীয় পান করলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সবচেয়ে ভালো ইফতার হয় ঘরে বানানো তরমুজ বা লেবুর শরবত পান করলে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স লস য় স বছর র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি, সন্ধ্যায় মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এজাজ আহমেদ (৩২) নামের এক আসামি মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শনিবার সন্ধ্যার সময় তিনি মারা যান। এজাজ আহমেদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর এজাজ আহমেদের বার এট ল করার জন্য লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল।
এজাজ আহমেদের বাবা শাহ আলমের অভিযোগ, গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে তাঁর ছেলেকে হাজারীবাগ থেকে আটক করে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মোহাম্মদপুর থানার একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। তখন এজাজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি জামিনে ছাড়া পেলে তাঁকে ধানমন্ডির জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পুলিশ গতকাল শুক্রবার ভোরে তাঁকে আবার ধরে নিয়ে যায়। আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এজাজের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার অভিযোগে এজাজের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। সেই মামলায় গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে এজাজের বাবা শাহ আলম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আগের দফায় তাঁর ছেলেকে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে। এ জন্য তাঁর ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজ মারা গেলেন।
তবে এজাজের বাবার এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এজাজ আহমেদ ধানমন্ডি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী ছিলেন। ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌথ বাহিনী এজাজকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। থানায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। এজাজ আহমেদকে কোনো ধরনের নির্যাতন করেনি পুলিশ। বরং গতকাল ডিবির সহযোগিতায় জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আজ ভোরে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগে থেকে কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন এজাজ। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।