পাকিস্তানের রেকর্ড হার ও রান তাড়ায় সবচেয়ে কম বল খেলে পাওয়া জয়
Published: 16th, March 2025 GMT
৯১ রানে অলআউট। ৯ উইকেটে হার। ৯২ রানের লক্ষ্য প্রতিপক্ষ পেরিয়েছে ৫৯ বল হাতে রেখে। ক্রাইস্টচার্চে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একরাশ লজ্জাই সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তানের।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে উইকেট ও অব্যবহৃত বলের হিসাবে পাকিস্তান আজই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারার রেকর্ড গড়ল। পাকিস্তান অবশ্য এর আগেও একবার ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৯ উইকেটে হেরেছে। সেটি ২০১৮ সালের ঘটনা। হারারেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান।
তবে বলের হিসাবে আজই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারল দলটি। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচেই। পাকিস্তানের ১১৬ রান ৫৫ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলীয়রা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অব্যবহৃত বলের হিসাবে পাকিস্তানের আজকের হারটা অনেক নিচের দিকেই থাকে। তবে শুধু টেস্ট খেলুড়ে দেশের হিসাব করলে পাকিস্তানের আজকের হারটা থাকে ৯ নম্বরে।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরুদ্ধে বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টা পাকিস্তানেরই.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল র হ স ব উইক ট সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নোমানী হত্যা মামলা: পাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপককে বহিষ্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) প্রশাসন। জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে বহিষ্কারের বিষয়টি জানা গেছে। গত বুধবার (১২ মার্চ) রেজিস্ট্রার অফিস আওয়াল কবির জয়ের বহিষ্কার নিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আওয়াল কবির কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বিভাগীয় আদেশ অমান্য, মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালী ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইনসঙ্গত আদেশ অমান্য, কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শনজনিত কার্য সংগঠন ও পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তার এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়াল কবির জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পর অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে, তা মঞ্জুর করা হয়নি। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে আদেশ দেওয়া হলেও তিনি তা অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা সাময়িক খুশি হয়েছি। তবে আমরা এ খুনির স্থায়ী বহিষ্কার চাই। একজন খুনির জায়গা কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না। সামনে যেন এই খুনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ না করতে পারে, প্রশাসন যেন সে উদ্যোগ নেয়।”
আওয়াল কবির জয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল সালে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
ঢাকা/আতিক/মেহেদী