অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ায় শক্ত অবস্থান নিয়েছে বিসিসিআই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা হচ্ছে না বিরাট কোহলিদের। ওই সিরিজের পর জাতীয় দলের সফরে ক্রিকেটারদের পরিবার সঙ্গে রাখার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

বোর্ড নির্দেশ দিয়েছে, লম্বা সফর হলেও পুরো সময় পরিবার নিয়ে থাকতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। অনুশীলনে আসা ও ম্যাচ খেলতে যাওয়া-আসা করতে হবে টিম বাসে। এমন আরও কিছু শর্ত দিয়েছে বিসিসিআই।

তবে বিরাট কোহলি রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আয়োজনে আরসিবি ইনোভেশনাল ল্যাব ইন্ডিয়াস স্পোর্টস সামিটে বলেন, ‘পরিবারের কাছে ফিরে আসার আনন্দ যে কতটা গভীর তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার মনে হয়, আমাদের সঙ্গে পরিবার থাকার গুরুত্ব যে কতটা তা বললেও সকলে বুঝতে চাইবেন না। আপনি যে কোন খেলোয়াড়কে যদি বলেন, পাশে পরিবার চাও কিনা, তারা উত্তরে হ্যা বলবে।’ 

কোহলি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে থাকার সামান্যতম সুযোগও তিনি হাতছাড়া করতে চান না, ‘আমাদের জীবনে নানা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমরা স্বাভাবিক থাকতে পারি না। কিন্তু পরিবারের কাছে ফিরলে স্বস্তি লাগে। স্বাভাবিক জীবন চলতে থাকে। এটি অপরিমেয় আনন্দ দেয়। আমি তাই পরিবারের সঙ্গে থাকার, ঘুরতে যাওয়ার, সময় কাটানোর কোন সুযোগই হাতছাড়া করতে চাই না।’ 

ভারতীয় ক্রিকেটাররা দেশের বাইরে জাতীয় দলের সফরে গেলে পরিবার নিয়ে যান। বিরাট কোহলির সঙ্গে আনুশকা শর্মাকে দেখা যায়। রোহিত শর্মা স্ত্রী-সন্তান সঙ্গে নিয়েই সিরিজ খেলতে যান। আথিয়া বিয়ের আগেই   কেএল রাহুলের সফর সঙ্গী হয়েছেন। জাসপ্রিত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজাদের সফর সঙ্গী হন স্ত্রী-সন্তানরা। তবে আগামীতে তাদের মানতে হবে বিসিসিআই-এর শর্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ব স স আই ব স স আই পর ব র র ল র সফর

এছাড়াও পড়ুন:

২২ বছর পর তালেবানের ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের শাসকদল তালেবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তকমা প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন থেকে রাশিয়ায় তালেবান বৈধভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে।

চার বছর আগে দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণকারী তালেবানকে ২০০৩ সাল থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রাশিয়া। তাই এত দিন পর্যন্ত গোষ্ঠীটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা রাশিয়ার আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বাহিনী প্রায় দুই দশক অবস্থানের পর ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর থেকে তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত মধ্য এশিয়ার দেশটিকে স্থিতিশীল করতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলারও আহ্বান জানাতে থাকেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।

 ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত চার বছরে তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা একাধিকবার রাশিয়া সফর করেছেন। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আফগানিস্তানের ‘বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা প্রয়োজনীয়’। কারণ আফগানিস্তানে বর্তমানে তাঁরাই ক্ষমতায়।

২০২৪ সালের মে মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিচার মন্ত্রণালয় তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়। চলতি মাসের শুরুতে প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব জমা দেয়। গতকাল প্রস্তাবটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান সুপ্রিম কোর্ট। 

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রায় এক দশক আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সেনা মোতায়েন ছিল। তখন তাঁরা দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অর্থাৎ তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতময় অতীত রয়েছে। তবে মস্কোর সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার তালেবানকে আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য করতে সহায়তা করবে।

গত কয়েক বছরে এশিয়ার অন্যান্য দেশও তালেবানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালে কাজাখস্তান তালেবানের ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার করে। পরের বছর একই পথে হাঁটে কিরগিজস্তান। 

তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। নারীদের প্রতি তালেবানের মনোভাব আন্তর্জাতিক মহলে চরমভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে।

স্বীকৃতি না দিলেও কাবুলে বর্তমানে চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইরানের দূতাবাস রয়েছে। তালেবানের অধীনে ২০২৩ সালে আফগানিস্তানে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে চীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ