মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনায় মামলা
Published: 16th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর চার আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেন চুনারুঘাটের স্থানীয় সংবাদকর্মী নুরুল আমিন।
মামলাটি আমলে নিয়ে হবিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল ইসলাম মামলার আসামি মোতাল্লিব মিয়া, তার ছেলে বকুল, মকুল ও সেকুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ফখরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুনানিকালে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন- বাদী মামলা না করলেও আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা করতেন। তিনি নির্যাতনের ভিডিও দেখেছেন বলেও শুনানীকালে জানান।
বাদিপক্ষের হয়ে ১৫/২০ জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে মোস্তফা ফার্মেসির কাছে আসামিরা অজ্ঞাত একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখার পর চুনারুঘাট থানার একদল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর থেকে নির্যাতনকারীরা পলাতক আছেন বলে পুলিশ জানায়।
ঢাকা/আজহারুল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আবরার হত্যা: আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় রোববার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার দায়ে দণ্ডিত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রোববার রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেবেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মামলা সংশ্লিষ্ট রোববারের কার্যতালিকায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে আজ।
এর আগে শুনানি শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, শিশির মনির।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড হলে, তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।
ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত আপিল করেন কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা। আসামিদের এই ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে এক দিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ শুনানিতে ছিলেন। আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ শুনানিতে অংশ নেন।