ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তোলার পর আলোচনায় আসা রংপুরের অন্যতম ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিপি খান রংপুরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ভরসা পরিবারের পুত্রবধূ এবং এসএল ভরসা গ্রুপের চেয়ারম্যান।

লিপি খান গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও কেনেন। গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থ যোগানের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি ১৯ জুলাই রংপুরের সিটি বাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলার ১৭৯ নম্বর আসামি।

ঘটনার শুরু এ মামলা থেকেই। সম্প্রতি মামলাটি থেকে নাম বাদ দিতে রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ তোলেন লিপি। গত ১১ মার্চ এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার আসামি তালিকা থেকে নাম সরাতে রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ চান উপকমিশনার শিবলী কায়সার।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতে লিপি তার ম্যানেজার পলাশ হাসানকে রংপুর কোতোয়ালি থানায় পাঠান। সেখানে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার থানার ভেতরেই পলাশকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে শিবলীর নাম বাদ দিয়ে চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় অমিতকে কারাগারেও পাঠানো হয়। এসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত শনিবার দুপুরে শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে ফেরানো হয়েছে। এরপর লিপিকেও গ্রেপ্তার করা হলো।

মহানগর কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী লিপিকে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে রংপুরে এনে আদালতে তোলা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে পুলিশের সেই উপকমিশনার শিবলী প্রত্যাহার

ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ও থানায় মামলা করতে আসা ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার রংপুর মহানগর পুলিশ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। 

পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের সই করা চিঠিতে রোববারের মধ্যে তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে। 

শনিবার রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে রংপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসা উপকমিশনার শিবলীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বৃহস্পতিবার তার ম্যানেজার পলাশ হাসানকে মহানগর কোতোয়ালি থানায় পাঠান। এ সময় পলাশকে থানাতেই পেটান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। শনিবার সমকালে ‘রংপুরে পুলিশের উপকমিশনারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
 
লিপি খান ভরসার অভিযোগ, গত ১৩ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় আসামি হন তিনি। এ মামলা থেকে নাম বাদ দিতে রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন উপ-কমিশনার শিবলী। 

গত ১১ মার্চ উপ-কমিশনার শিবলীর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির কথা জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন লিপি খান। এ অভিযোগে শুক্রবার সকালে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উপকমিশনার (অপরাধ) থেকে বদলি করে উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস)-এর দায়িত্ব  দেওয়া হয়।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ করা সেই ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
  • রংপুরে পুলিশের সেই উপকমিশনার শিবলী প্রত্যাহার