ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে চাচা-চাচিসহ ৪ জন হাসপাতালে
Published: 16th, March 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে চারজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চাচা, চাচি ও চাচাত দুই ভাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার পাটিয়াডাঙ্গী বাজারের খড়িবাড়ী হঠাৎপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, চাচা আব্দুল জলিল, চাচি পারুল বেগম, চাচাত ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউনুস আলী।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিকদের আব্দুল জলিল বলেন, ‘‘গতকাল রাতে জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ভাড়া করা লোক এনে হামলা করা হয়েছিল। আমি তারাবির নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইয়ে বৌ খুব ডেঞ্জারাস। তিনি তার ভাইয়ের ছেলেকে ডেকে এনে আমার বড় ছেলেকে মারধর করেন৷ রাতে বিষয়টি কুলায় উঠতে পারিনি। পরদিন সকালে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করি। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলেকে শাসন করি। লাঠি দিয়ে মারি। এরই মধ্যে আমার আরেক ভাতিজা সাদেকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।’’
আরো পড়ুন:
সংকট নিরসনে বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ হবে ২ হাজার চিকিৎসক
রাজশাহীতে চিকিৎসাসেবা কার্যত বন্ধ, রোগীদের ভোগান্তি
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, ‘‘ছুরিকাঘাতে আহত দুইজনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে।’’
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম নাজমুল হুদা জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে। তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/হিমেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পটুয়াখালীতে নতুন বছরকে বরণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দিনটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সার্কিট হাউজ চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে ডিসি স্কোয়ারে বেলুন উড়িয়ে বর্ষবরণ কর্মসূচির লোকজ মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুয়েল রানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক হাওলাদারসহ অন্যান্য সরকারি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নানান বাধ্যযন্ত্র নিয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পরে ডিসি স্কোয়ার মাঠে বর্ষবরণের মনোজ্ঞ বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিকেলে শহীদ মিনারের সামনের মাঠে কাবাডি প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যায় ডিসি স্কোয়ার মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের কর্মসূচি রয়েছে।