নতুন ইতিহাস তৈরি করল রিমার্ক: শাকিব
Published: 16th, March 2025 GMT
শত বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক হালাল মার্কেটে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মধ্যপ্রাচ্যেসহ বিভিন্ন দেশের হালাল মার্কেটে বাংলাদেশি স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস পণ্যের বিশাল চাহিদা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু দেশে রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ আজারবাইজানে চলছে হালাল পণ্যের রপ্তানির কাজ। আগামী এপ্রিলে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় দুবাই ডার্মায়ও বাংলাদেশি হালাল কসমেটিকস পণ্যের প্রদর্শন করা হবে। এই মেলায় বিশ্ব হালাল মার্কেটের বড় ধরনের শোডাউন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (১৬ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে বিশাল এই রপ্তানিবাজারে প্রবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে তারকা বেষ্টিত এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে রিমার্কের ডিরেক্টর, মেগাস্টার শাকিব খান সবার সামনে ঐতিহাসিক এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দেশসেরা ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, তানজিদ হাসান তামিম, রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন এবং রিমার্ক পরিবারের সদস্যরা।
রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর, মেগাস্টার শাকিব খান তার উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করে বলেন, “এতদিন এই খাতে বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি না থাকলেও রিমার্ক এইচবি এবার তৈরি করল নতুন ইতিহাস। নকল-ভেজালে অতিষ্ট ক্রেতারা এখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। দেশে-বিদেশে গিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ হালাল পণ্য পছন্দ করেন। আমরা উন্নতমানের হালাল পণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা আমাদের পণ্য ব্যবহার করেছেন তারা বুঝেছেন এই পণ্যগুলো অতি উচ্চমানের। আমি মনে করি, এটাও আল্লাহর রহমত। কারণ, আপনারা দেখেছেন বিএসটিআই ৩৪টি পণ্যের পরীক্ষা করে দেখেছে আমদানিকৃত এসব পণ্যের অধিকাংশই ভেজাল ও নকল। সেখানে রিমার্ক-হারল্যান সাধারণ মানুষের স্বস্তির জায়গা নিশ্চিত করছে। রিমার্কের হাত ধরে বৈশ্বিক হালাল কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্যের শত বিলিয়ন ডলারের বাজারে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। লিলি হালাল বিউটি সোপ ও অলিন হালাল লিপবামের মাধ্যমে সারা বিশ্বজুড়ে হালাল কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্যের বাজারে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে রিমার্ক।”
আরো পড়ুন:
ধর্ষণের বিচার চাইলেন শাকিব খান
সবকিছু ভেঙেচুরে বরবাদ হয়ে যাচ্ছে: বুবলী
আশা ব্যক্ত শাকিব খান বলেন, “এই অর্জন শুধু রিমার্কের নয়, এই অর্জন পুরো বাংলাদেশের। আমি শুরুতেই ধন্যবাদ দিতে চাই বিএসটিআই-কে, তাদের প্রত্যয়নের মাধ্যমেই আমরা পেয়েছিলাম হালাল সার্টিফিকেট আর তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা বিশ্ব হালাল কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও পার্সোনাল কেয়ার পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। হালাল পণ্যের ক্রমবর্ধমান বাজারে রিমার্কের হাত ধরে বাংলাদেশ শিগগির একটি শক্ত অবস্থান তুলে ধরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
এই শত বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক হালাল মার্কেটে বাংলাদেশের প্রবেশ নিঃসন্দেহে গর্বের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের হালাল মার্কেটে বাংলাদেশি স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস পণ্যের বিশাল চাহিদা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু দেশে রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ আজারবাইজানে চলছে হালাল পণ্যের রপ্তানির কাজ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হালাল কসমেটিকস ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। নিরাপদ হওয়ায় শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিমদের মধ্যেও এইসব পণ্য ব্যবহারের হার বাড়ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি অমুসলিম দেশগুলোতেও হালাল কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্যের ব্যবহার ও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে রিমার্ক। প্রায় ৮ শতাংশ গ্রোথ রেটের এই সম্ভাবনাময় বাজারে রিমার্ক তার উদ্ভাবনী দক্ষতা ও কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শিগগির তার কাজের পরিধি আরো বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত করবে। প্রাথমিকভাবে লিলি ও অলিনের ৮টি ভিন্ন হালাল পণ্যের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে রিমার্ক যা অচিরেই শতাধিক হালাল পণ্যের এক বিশাল সম্ভারে উন্নীত করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ-এর অ্যাফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি। নকল ও ভেজালমুক্ত পণ্য ব্যবহার করে দেশের মানুষ যাতে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিং অনুযায়ী সবরকম সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে তাই রিমার্কের লক্ষ্য। রিমার্কের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন মেগাস্টার শাকিব খান, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি, সাবিলা নূর, কেয়া পায়েল, প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, পূজা চেরি ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন ও সিয়াম আহমেদের মতো জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র জনপ র য় প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
হাবিপ্রবিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ৭৩ ভর্তিচ্ছু
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৭২ হাজার ৯৯৩ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পূর্বে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আবেদনের তারিখ ও পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেখানে আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৩ মার্চ রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত।
এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৯৯৩ জন ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে মোট আবেদন করেছে ২৫ হাজার ৮০৬ জন, ‘বি’ ইউনিটে ২২ হাজার ২৯৫ জনের (তন্মধ্যে আর্কিটেকচারে ১ হাজার ৬৪৭ জন), ‘সি’ ইউনিটে ৬ হাজার ৮৪৯ জন (তন্মধ্যে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ থেকে ৪ হাজার ৪৫৫ জন) এবং ‘ডি’ ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন ১৮ হাজার ৪৩৯ জন (তন্মধ্যে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ৬ হাজার ৬৬৮ জন)।
আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৪৭ জন, ‘বি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩০ জন, ‘সি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ২৪ জন এবং ‘ডি’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৭ জন ভর্তিচ্ছু লড়বেন।
প্রতি ইউনিটের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার টাকা এবং আর্কিটেকচারের ড্রয়িং পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে বলা হয়েছিল।
‘এ’ ইউনিটে রয়েছে এগ্রিকালচার, ফিশারিজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদ; ‘বি’ ইউনিটে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান অনুষদ; ‘সি’ ইউনিটে রয়েছে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ‘ডি’ ইউনিটে রয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদ।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী