দেড় ঘন্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু
Published: 16th, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর ফলে দেড় ঘণ্টা পর ওই মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা। এর আগে, একইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের দাবিতে লুমেন টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
আরো পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
আরো পড়ুন:
ঈদে যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, প্রতিমাসেই বেতন দিতে দেরি করে কর্তৃপক্ষ। যেহেতু, রমজান মাস এজন্য এই মাসে আগে বেতন দিতে বলা হয় তাদের। আজ বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আজও বেতন না দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়।
কারখানা শ্রমিক মাহবুব বলেন, “আমাদের কারখানায় ৩০০-৪০০ শ্রমিক কাজ করে। রাত ১১ টা ১২টা পর্যন্ত কাজ করানো হলেও কোনো নাইট বিল দেওয়া হয় না। ইনক্রিমেন্ট নেই। প্রতি মাসের ১৫-২০ তারিখ বেতন দেয়। রমজান মাস আগে বেতন চেয়েছি তবু ম্যানেজমেন্ট গুরুত্ব দেয়নি।”
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, “শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মহাসড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২২ রোগী
দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৫ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতি বছরে রোগটিতে ১৬ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনই বরিশাল বিভাগের। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ছয়, ঢাকা বিভাগে চার ও চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৪ জন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬৬ জন বরিশালের, এর পর চট্টগ্রামে ৩৯৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬২, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৫, ঢাকা বিভাগে ৩৫৩, খুলনায় ১১৬, রাজশাহীতে ৬২, ময়মনসিংহে ৫১, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ছয়জন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। এর পর বরিশাল ও খুলনা বিভাগে দু’জন করে চারজন। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ২৯ জন, আর ৭৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬১ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১৩ জন।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।