ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিতের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 16th, March 2025 GMT
ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিত কুমার তালুকদার ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ তিনজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সিদ্দিকুর গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিত কুমার তালুকদারের তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর স্ত্রী ঝুমুর মজুমদারের ২৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুমুর মজুমদারের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা টাকা পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লাখ ৩২ হাজার ৭৯ টাকা। আর রঞ্জিতের তিনটি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৬৪ হাজার ২০১ টাকা।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, রঞ্জিত কুমার তালুকদার ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরা তাঁদের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।
এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক অনিতা কর ও মাহফুজা রহমানের ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সিদ্দিকুরের ১১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মাহফুজা রহমানের চারটি এবং অনিতা করের সাতটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর বাইরে জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া নেত্রকোনা মদন পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল হান্নান তালুকদার, তাঁর স্ত্রী খুশনো চৌধুরী, ছেলে মুজিবুল হাসান খালেদ, রেজয়ানুল হাসান ও আবরার হাসানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট ৩ জনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সংশ্লিষ্ট তিন জনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুদকের পক্ষে কমিশনের উপসহকারী পরিচালক সাবরিনা জামান ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগী স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ঋণ আবেদন যাচাই-বাছাই ছাড়াই কোনো মর্টগেজ গ্রহণ ছাড়া এবং ঋণ গ্রহীতা কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্বন্দীপ কর্পোরেশনের প্রোপাইটর স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে ভুয়া ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। বেনিফিসিয়ারিরা এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভুয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে এসব অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে। এ কারণে প্রশান্ত কুমার হালদার এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩ মার্চ মামলা করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় মামলার তিন নম্বর আসামি এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো.সিদ্দিকুর রহমান, ৮ নং আসামি পরিচালক মিসেস মাহফুজা রহমান বেবী এবং ১৬ নম্বর আসামি আরেক পরিচালক মিস অনিতা কর কর্তৃক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। পি কে হালদার ইতোমধ্যে ভারতে আটক রয়েছেন মর্মে জানা যায় এবং তার সহযোগিরা দেশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এসব অর্থ উত্তোলন করার চেষ্টা করছেন মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়। এসব অর্থ উত্তোলন করতে পারলে তারা গোপনে দেশ ত্যাগ করতে পারেন।
মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে মামলার উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। এজন্য অবিলম্বে নিম্ন তফসিলে বর্ণিত অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা প্রয়োজন।
এসব হিসাবের মধ্যে মো.সিদ্দিকুর রহমানের নামে রয়েছে ১১টি, মাহফুজা রহমান বেবীর নামে চারটি এবং অনিতা করের নামে ৬ টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
ঢাকা/মামুন/এসবি