রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১২ জেলায় আজ রোববার মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। রাজধানীতে এক দিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মধ্য মার্চে এমন তাপপ্রবাহ কিছুটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তাঁরা। বাতাসের প্রবাহ কমে যাওয়া এবং সূর্যকিরণ দীর্ঘ হওয়ার কারণেই এবার তাপপ্রবাহ বেড়ে গেছে। আবার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি। সে কারণে মৃদু তাপপ্রবাহ হলেও গরমের অনুভূতি খানিকটা বেশি হচ্ছে। তাপপ্রবাহের এই ধারা আগামী দু–এক দিন থাকতে পারে।
যদি কোনো এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপপ্রবাহ তখন ধরা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। তাপমাত্রা ৪২–এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
আজ রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে, ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের আর যেসব স্থানে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি পার হয়েছে, অর্থাৎ মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে সেগুলো হলো ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা (ঈশ্বরদী), খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, পটুয়াখালী, রাঙামাটি ও চুয়াডাঙ্গা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আজ প্রথম আলোকে বলেন, এখন সূর্য কিরণ থাকার সময় বেড়ে যাচ্ছে। এরই সঙ্গে আবার বায়ু প্রবাহের গতিও কম। পাশাপাশি বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তাতে গরমের অনুভূতি বাড়ছে। এমন অবস্থা দু–এক দিন থাকতে পারে।
আজ সকালে রাজধানীতে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮২ শতাংশ। আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণেই তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থাকলেও অনুভূতি ৩৮ এর মতো মনে হচ্ছে, এমনটাই মনে করেন আবুল কালাম মল্লিক।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতি মাসের শুরুতে ওই মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়। সে অনুযায়ী এই মার্চ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি থাকতে পারে। এ মাসে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে একাধিক দফায়। আবার এ মাসেই কালবৈশাখীও হতে পারে। ইতিমধ্যে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সিলেটের কয়েকটি স্থানে গত বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাহার চেস একাডেমির স্বাধীনতা দিবস দাবায় আনান চ্যাম্পিয়ন
নাহার চেস একাডেমি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরিয়ান সামির আনান। নারায়ণগঞ্জের আদর্শ শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আনান নয় খেলায় আট পয়েন্ট পেয়ে এ কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
অপরদিকে যৌথভাবে রানার আপ হয়েছে আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির আশফাক সাফিন আহনাফ ও নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির রাহিব রহমান। দু’জনেই সমান সংখ্যক সাড়ে ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করে।
প্রতিযোগিতায় তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির নুসরাত হাসান নাবা, নবম শ্রেণির ধ্রুব সেনগুপ্ত ও সপ্তম শ্রেণির মোঃ রোহান খান।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ।
অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাতি খন্দকার মাহাবুবুল ইসলাম সোহেল, এসিপির সহ-সভাপতি ক্যান্ডিডেট মাস্টার সোহেল চৌধুরী, এসিপিবি-র সাধারণ সম্পাদক ক্যান্ডিডেট মাস্টার শওকত বিন ওসমান শাওন, আন্তর্জাতিক রেটেড দাবাড়ু, লেখক ও সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ সেন্টু এবং দাবানুরাগী ও চিত্রশিল্পী স্বপন চারুশি।
নাহার চেস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও দেশ সেরা দাবা সংগঠক মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক রেটেড দাবাড়ু এমদাদুল কবির চৌধুরী রাজু ও মোহাম্মদ আলী।
নারায়ণগঞ্জ জেলার চারটি বিদ্যালয়ের মোট দশজন ছাত্রছাত্রী নয় রাউন্ড রবীনলীগ পদ্ধতিতে দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। খেলা পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক রেটেড দাবাড়ু ও দাবা প্রশিক্ষক নাজমুল হাসান রুমি। বিজয়ীদের পুরস্কার পরবর্তীতে প্রদান করা হবে।