ছোটবেলায় যখন স্কুলে পড়ি, তখন আশপাশের অনেকেই অনেক কিছু হতে চাইত। আমি তখনো এসব বুঝতাম না। মা–বাবাও কখনো বলেনি, তোমাকে এটাই হতে হবে। নবম শ্রেণিতে উঠে কী মনে করে বিজ্ঞান পড়া শুরু করলাম। ডাক্তার-প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা থেকে নয়, এমনিই। ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি আমার পছন্দ। যখন দেখলাম, ইংরেজি সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করা যায় মানবিক বিভাগে, তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, কলেজে বিভাগ পরিবর্তন করে মানবিক নেব। এর পর থেকে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান (সাবেক ‘খ’) ইউনিটের প্রশ্ন নিয়ে গবেষণা শুরু করি। কী ধরনের প্রশ্ন আসে, কেমন প্রশ্ন হয়—একটু একটু করে বুঝতে শিখি।

এসএসসির পর ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হলো। ছোটবেলা থেকে ধরে ধরে পড়ার কারণে ইংরেজি সহজ লাগত। পাশাপাশি বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানের দিকে মনোযোগ দিলাম। এভাবে এইচএসসির আগেই ভর্তি পরীক্ষার পুরো সিলেবাস শেষ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনবুয়েটে তৃতীয়, কুয়েটে প্রথম খুলনার তামিম; কী ছিল তাঁর পড়ালেখার কৌশল২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা শেষ করে কোচিংয়ে ভর্তি হলাম। কোচিংয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে হাতে কিছুদিন সময় ছিল। সেই সময়টা রিভিশন দেওয়ার কাজে ব্যয় করি। দেখা গেল, কোচিং ক্লাস শুরুর আগেই আমার ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান একবার করে রিভিশন শেষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশের গুরুত্ব অনেক। আমি শুরু থেকেই লিখিত অংশে দক্ষ ছিলাম। ছোটবেলায় গল্পের বই পড়া এবং তা থেকে টুকটাক লেখালেখির যে অভ্যাস গড়ে উঠেছিল, তার সুফল আমি এই সময় পেয়েছি।

সাইফা বিনতে ওয়ারীশ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে: জেএসডি

বিদ্যমান ব্যবস্থা সংস্কার না করে নির্বাচন হলে পুরোনো ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে বলে আশঙ্কা করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। একই সঙ্গে দলটি মনে করে জাতীয় সনদ আগামী প্রজন্মের জন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

বিদ্যমান রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে শহীদ উদ্দিন বলেন, শাসনব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার অনিবার্য। ফ্যাসিবাদী শাসক ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে মানুষের সব অধিকার হরণ, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন, আয়নাঘর প্রতিষ্ঠাসহ রাষ্ট্রের সব কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রের সব কাঠামো ভেঙে পড়েছে।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বিদ্যমান ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে এটিকে পুনর্বিন্যাস করা ছাড়া নতুন ক্ষমতায়নের দিকে গেলে পুরোনো ব্যবস্থা ফিরে আসার আশঙ্কা থাকবে।

জাতীয় সনদ তৈরির উদ্যোগকে যৌক্তিক ও কার্যকর মন্তব্য করে শহীদ উদ্দিন বলেন, জাতীয় সনদ তৈরির জন্য যে কাজগুলো হয়েছে; তা আজ, আগামীকাল ও প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। আমরা যেটুকু ঐকমত্য তৈরি করব, সেটি হবেই। কিন্তু আগামী প্রজন্ম রাষ্ট্রকে পুনর্নির্মাণ করার জন্য নতুন ধারণা তৈরি করার ক্ষেত্রে সহায়তা নিতে পারবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর ন্যূনতম ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ করা দরকার বলে মনে করেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।

জেএসডি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৯টিতে একমত, ১৭টিতে দ্বিমত, ২৭টিতে আংশিকভাবে একমত এবং ৩টিতে মতামত নেই বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, সহসভাপতি সিরাজ মিয়া, সানোয়ার হোসেন তালুকদার, কে এম জাবির, তৌহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হেলালুজ্জামান।

আরও পড়ুনস্বল্প সময়ের মধ্যে ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় ঐকমত্য কমিশন১০ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ