‘ব্যক্তিগত সমস্যাও শোনার’ কোচিং দর্শন মুশতাকের
Published: 16th, March 2025 GMT
জাতীয় দলের প্রধান কোচিং স্টাফ দীর্ঘ মেয়াদে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি। প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে থাকছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের সঙ্গেও চুক্তি বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। পাকিস্তানের সাবেক এ লেগস্পিনার বাংলাদেশের ক্রিকেট সিস্টেম উন্নতিতে অবদান রাখতে।
সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানি এই কোচ জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সমস্যাও শুনতে চান তিনি। এটাই তার কোচিং দর্শন। যোগাযোগের জায়গায় উন্নতি চান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের সিস্টেমের উন্নতিতে অবদান রাখতে চান।
মুশতাক বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের থেকে খুবই ভালো সাড়া পাই। তবে উন্নতির অনেক জায়গা আছে, বিশেষ করে ‘কমিউনিকেশন’। যোগাযোগ হলো চাবিকাঠি। আমার কোচিং দর্শন হলো ছেলেদের সঙ্গে কোনো দূরত্ব থাকবে না। খেলোয়াড় ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা বললেও সেটা শুনতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই, যোগাযোগের জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
ভাষাগত কিছু সমস্যা থেকে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কোচ মুশতাক, ‘এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কথা না বুঝলে যোগাযোগ মজবুত হয় না। আমি উর্দু, হিন্দিতে ৭০ ভাগ কথা বলি, বোঝানোর চেষ্টা করি। কারণ হিন্দিটা সবাই বোঝে। যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’
সাক্ষাৎকারে মুশতাক জানিয়েছেন, ভালো ক্রিকেট খেলতে হলে প্রথমে দক্ষ ক্রিকেটার দরকার। এরপর ওই দক্ষদের মধ্যে মোটিভেশনের মিশ্রণ ঘটাতে হবে, ‘স্কিলের সঙ্গে মোটিভেশনের মিশ্রণ ঘটানো। স্কিল ছাড়া খেলাই হবে না। অতএব স্কিলড ক্রিকেটার লাগবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ম্যান ম্যানেজ স্কিলটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণ দেওয়া, খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে ম্যাচ জেতার কৌশল বলে দিতে হয়। মোটিভেশন ও স্কিলের ভারসাম্য রাখতে হয়।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বাদে ৬৩ জেলায় স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ: প্রেস উইং
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এ বছর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে যে খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় স্টেডিয়াম ও ঢাকার সংস্কার কাজ চলমান থাকায় গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের বাকি ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে কুচকাওয়াজ আয়োজন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরো পড়ুন:
ইবিতে ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ নামে হল, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বুদ্ধিজীবীর সেকাল-একাল
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
এদিন দুপুরে সচিবালয়ে স্বাধীনতা দিবস এবং ঈদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জানান, ১৬ ডিসেম্বরের মতো এ বছর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসেও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। দেশ এখন আনন্দের মেজাজে নেই। সরকার দেশের অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালন করছে, একটা যুদ্ধ তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।