হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, মহাসড়ক অবরোধ
Published: 16th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে হবিগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক সমাজ।
এ কর্মসূচিতে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ জেলা সদরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কের দুই প্রান্তে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে।
আজ দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার গোলচত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। বেলা একটা থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ১টা থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়কের দুই প্রান্তে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে।
এ সময় সমাবেশে বক্তরা বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে মানহীনতা দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আট বছর ধরে চলা এ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জেলার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে আসছেন। এখানে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। বিগত সরকারের ব্যর্থতায় এ কলেজ স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি। শিক্ষকের কোটা পূরণ করা হয়নি। ভালো ল্যাব দেওয়া হয়নি। এ দায় কলেজ বা হবিগঞ্জবাসীর নয়। এর দায় সেই সময়কার সরকারের। হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে মানহীন কলেজ দেখিয়ে এখন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা কিছুতেই হবিগঞ্জের মানুষ মেনে নেবে না।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক হবিগঞ্জ বাপার সভাপতি ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সামসুল হুদার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মনসুর আহমেদ ইকবাল, জেলা জামায়াতের আমির মুখলিছুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহমেদ প্রমুখ।
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এ কলেজে ৩৫০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ওই পথের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
নীলফামারীর সর্বস্তরের জনগণ ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
আন্দোলনকারীরা চৌরঙ্গী মোড়ের চারদিকের সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সেখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহাবুব উর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এই সরকারের কাজ হলো দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ফিরে যাওয়া। তারা সেটি না করে নীলফামারীতে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজটি নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নীলফামারীর জনগণ এটা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।
নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অর্পিতা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের কিছু সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধের আলোচনা চলছে। যেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নীলফামারী মেডিকেল কলেজ কোনোভাবেই মানহীন তালিকায় আসতে পারে না।’
নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহাবুব উর রহমান বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেদিন থেকে নীলফামারী জেলা ব্লকেড ঘোষণা করে অচল করে দেওয়া হবে।