হবিগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে হবিগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক সমাজ।

এ কর্মসূচিতে মে‌ডিকেল ক‌লে‌জের শিক্ষার্থীসহ জেলা সদরের বি‌ভিন্ন রাজ‌নৈ‌তিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কের দুই প্রান্তে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে।

আজ দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার গোলচত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। বেলা একটা থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ১টা থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়কের দুই প্রান্তে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে।

এ সময় সমাবেশে বক্তরা বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে মানহীনতা দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আট বছর ধরে চলা এ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জেলার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে আসছেন। এখানে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। বিগত সরকারের ব্যর্থতায় এ কলেজ স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি। শিক্ষকের কোটা পূরণ করা হয়নি। ভালো ল্যাব দেওয়া হয়নি। এ দায় কলেজ বা হবিগঞ্জবাসীর নয়। এর দায় সেই সময়কার সরকারের। হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে মানহীন কলেজ দেখিয়ে এখন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা কিছুতেই হবিগঞ্জের মানুষ মেনে নেবে না।

সম্মি‌লিত নাগ‌রিক সমা‌জের আহ্বায়ক হবিগঞ্জ বাপার সভাপতি ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সামসুল হুদার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মনসুর আহমেদ ইকবাল, জেলা জামায়াতের আমির মুখলিছুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশ‌ফিকুর রহমান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহমেদ প্রমুখ।

হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এ কলেজে ৩৫০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা এমএসএফের

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা ছাড়া কাউকে আটক রাখা আইন পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানায় এমএসএফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো মামলা না করে মেঘনা আলমকে দুই দিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রেখে তৃতীয় দিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এমএসএফ মনে করে, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত রাখতে সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ নিতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির চেষ্টা করা এবং দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মেঘনাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি কী ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন, তা ডিএমপির পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়নি।

আরও পড়ুনবিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ, মডেল মেঘনা কারাগারে১১ এপ্রিল ২০২৫

উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর কাজ থেকে তাঁকে নিবৃত্ত রাখার জন্য আটক করতে পারেন। মডেল মেঘনা আলম ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে তাঁকে গতকাল রাতে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।

আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখার কারণ হিসেবে যা বলল পুলিশ১১ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিগত ১৫ বছরে নববর্ষ পালন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে: রিজভী
  • ট্রাম্পকে হত্যা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাবা–মাকে হত্যাক করেছে মার্কিন কিশোর: এফবিআই
  • পয়লা বৈশাখে তৌহিদবাদী গণসংস্কৃতির দিকে ফিরে আসার আহ্বান হেফাজতে ইসলামের
  • আবারও বানানো হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি`
  • মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা এমএসএফের
  • নির্বাচন ও সংস্কার মুখোমুখি করা গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন