বেলকুচিতে মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, এক কৃষক নিহত
Published: 16th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের ছোট সগুনা গ্রামে নির্মাণাধীন একটি মসজিদের উন্নয়নে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলস্বরূপ আজাহার আলী (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিরাজগঞ্জ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
শনিবার সন্ধ্যায়, ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি শুরু হয়েছিল মসজিদ নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহকে কেন্দ্র করে। জানা গেছে, আলাউদ্দিন গ্রুপ ও কারিমুল গ্রুপের মধ্যে এই চাঁদা তোলার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং গুরুতর আহত আজাহার আলীকে পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে—শাহিন আনোয়ার, আমির হামজা, এবং মোশারফ হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেলকুচি থানার ওসি জাকেরিয়া হোসেন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ওসি জাকেরিয়া হোসেন আরও বলেন, গ্রামে মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে, আর এই চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা ছিল। সংঘর্ষে আজাহার আলী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন গ্রামে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশেষ নজরদারি রেখেছে।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বাদে ৬৩ জেলায় স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ: প্রেস উইং
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এ বছর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে যে খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় স্টেডিয়াম ও ঢাকার সংস্কার কাজ চলমান থাকায় গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের বাকি ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে কুচকাওয়াজ আয়োজন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরো পড়ুন:
ইবিতে ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ নামে হল, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বুদ্ধিজীবীর সেকাল-একাল
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
এদিন দুপুরে সচিবালয়ে স্বাধীনতা দিবস এবং ঈদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জানান, ১৬ ডিসেম্বরের মতো এ বছর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসেও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। দেশ এখন আনন্দের মেজাজে নেই। সরকার দেশের অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালন করছে, একটা যুদ্ধ তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।