প্রয়াতদের স্মরণ এবং অসুস্থ সদস্যদের আরোগ্য কামনা করে শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ইফতার ও দোয়া মাহফিল। সংগঠনটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সংগীত জগতের অনেক তারকা।
আয়োজন নিয়ে বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বাচসাস প্রয়াত সদস্যদের স্মরণ ও জ্যেষ্ঠদের আরোগ্য কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণে আমরা সুন্দর একটি আয়োজন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর পরই বেশ কয়েকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। তার মধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ এরই মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাচসাসকে এগিয়ে নেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাচসাসের ইফতারে উপস্থিত ছিলেন তারকা দম্পতি আজিজুল হাকিম ও জিনাত হাকিম, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জল, চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, অভিনেতা শিবা শানু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ কমল পাটেকর, নির্বাহী সদস্য রুমানা ইসলাম মুক্তি, সনি রহমান, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হাসান, সহ-সভাপতি রাশেদা আক্তার লাজুক, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি লায়ন এম নজরুল ইসলাম, চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, কায়েস আরজু, সাঞ্জু জন, অভিনেতা আব্দুন নূর সজল, চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা, নিঝুম রুবিনা, পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
‘রং খেলার নামে কেউ শরীর স্পর্শ করবে তা হতে পারে না’
‘মাধুরী দীক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণির তারকা’
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশ গ্রহণে পুরো পরিবেশ উৎসবমুখর ও মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। উপস্থিত সকলেই এমন একটি আয়োজন করার জন্য বাচসাস কমিটির প্রশংসা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বলে রাখা ভালো, কামরুল হাসান দর্পণ ও রাহাত সাইফুল নেতৃত্বাধীন কমিটি বাচসাস অফিস, পরিবার দিবস, ইফতার আয়োজন ছাড়াও বড় উদ্যোগের মধ্যে ‘বাচসাস ভয়েস’ নামে ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করে। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি নামিদামি হাসপাতালের সঙ্গে সদস্যদের সুবিধার্থে ‘চিকিৎসা সেবা চুক্তি’ অচিরেই সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র সদস য ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজা-পশ্চিম তীরে কেমন ছিলেন, জানালেন বাংলাদেশে পড়ুয়া ২ ফিলিস্তিনি তরুণ
অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনে দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অর্ধেকের বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে তারা। বিভিন্ন যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এসব যুদ্ধের সাক্ষী পুরো বিশ্ব। কোনো কোনো দেশ নীরব থেকেছে, কেউ আবার সরব হয়েছে, যেমন বাংলাদেশ।
কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশে পড়ুয়া ফিলিস্তিনি দুই তরুণ ইব্রাহিম কিসকো (২৩) ও আইজ্যাক এন নমুরা (২৩)। আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম অনুধাবন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তাঁরা। আইজ্যাকের বাড়ি দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে। আর ইব্রাহিমের বাড়ি গাজায়।
ইব্রাহিম কিসকো ও আইজ্যাক এন নমুরা—দুজনই বাংলাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আইজ্যাক পড়ছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আর ইব্রাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তাঁরা দুজনেই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২১ সালে বৃত্তি পেয়ে তাঁরা বাংলাদেশে পড়তে আসেন। বাংলাদেশে এসে একে অপরকে চিনেছেন।
আলোচনা সভায় আইজ্যাক বলেন, ‘২০২১ সালে আমি যখন বাংলাদেশে আসি, তখন পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রায় ১০০ তল্লাশিচৌকি ছিল। সেখান থেকে শিশু, নারী, পুরুষদের হেনস্তা করত এবং তাঁদের ওপর নির্যাতন চালাত ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের ইচ্ছেমতো আমাদের ধরে কারাবন্দী করে রাখা হতো।’
ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের অসংখ্য শিশু, নারী, পুরুষকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে—অভিযোগ এনে আইজ্যাক বলেন, ‘কারাগারে আমার ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। তারা সেখানে অনাহারে দিন পার করছে। প্রতিনিয়ত নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এসব থেকে মুক্তি চাই। ইনশা আল্লাহ, একদিন মুক্ত হব।’
আলোচনা সভার আগে আইজ্যাক এন নমুরার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি জানান, ছেলেবেলায় মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলেন। তাঁর পরিবারে ছয় ভাই ও পাঁচ বোন রয়েছে। তিনিই একমাত্র ফিলিস্তিন থেকে দূরে। তাঁর প্রিয় খাবার ‘মাকলুবা’ (বিরিয়ানির মতো একধরনের খাবার)। বাংলাদেশের তেহারি খেতে খুবই পছন্দ করেন। মিষ্টান্নের মধ্যে প্রিয় রসমালাই। পুরান ঢাকা ঘুরতে এবং পুরান ঢাকার খাবার খেতে ভালো লাগে তাঁর।
‘বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম অনুধাবন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কথা বলেন ফিলিস্তিনি তরুণ ইব্রাহিম কিসকো ও আইজ্যাক এন নমুরা