আশুলিয়া থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে রড ভর্তি ট্রাক ডাকাতির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া ট্রাক ও মালামাল। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সিরাজগঞ্জের আব্দুল লতিফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫) এবং হেমায়েতপুরের আকবর আলী শেখের ছেলে নূরে আলম (৪৮)।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর। গ্রেপ্তারকৃতদের এদিন পাঠানো হয় আদালতে। এর আগে গতকাল রাতে সাভারের ব্যাংকটাউন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ মধ্য রাতে আনোয়ার অটো রাইস মিল নামের একটি কোম্পানির ট্রাক ১৪ টন ওজনের রড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিল। ভোর ৫টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ট্রাকটির গতিরোধ করে। তারা ট্রাকের চালক ও সহযোগীকে হাত-পা-চোখ বেঁধে তাদের সাথে থাকা প্রাইভেটকারে তুলে নেয় এবং কয়েকজন রডসহ ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা চালক ও সহযোগীকে মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়। 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো.

শাহিনুর কবির বলেন, “এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর গত ১৩ মার্চ কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল বন্দের ঘাট এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ট্রাকটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সাভার-আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ট্রাকে থাকা মালামাল।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিবি পরিচয়ে গাড়ি থামিয়ে কোটি টাকা লুটের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তাদের জিম্মি করে এক কোটি ১০ লাখ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়িকান্দি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ দিন রাতে ঘটনাটি জানিয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। 

অভিযোগের বাদী মো. নাজিম উদ্দিন রাজধানীর ভাটারা এলাকার দিবা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক। তিনি উল্লেখ করেন, একই কোম্পানির মাইক্রোবাসচালক মামুন শেখকে নিয়ে শনিবার দুপুরে মতিঝিলের জীবনবীমা ভবনে অবস্থিত সিটি ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা তোলেন। তারা সেখান থেকে দিবা এন্টারপ্রাইজের চাঁদপুর শাখার উদ্দেশে রওয়ানা হন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের সোনারগাঁ উপজেলার দড়িকান্দি ব্রিজ পার হতেই পেছন থেকে সিলভার রঙের টয়োটা এক্সিও ফিল্ডার মডেলের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি তাদের গতিরোধ করে। সেখান থেকে নেমে আসা ৬ সদস্যের একটি দল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দেয়। 

ওই ব্যক্তিরা দিবা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিনকে জানায়, গাড়িটি তল্লাশি করতে হবে। অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা নাজিম ও চালক মামুনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে চোখ বেঁধে ও হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে। একপর্যায়ে দুটি ব্যাগে থাকা এক কোটি ১০ লাখ টাকা ও ভুক্তভোগীদের মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে অচেনা জায়গায় তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে জানতে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় সমকালের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, ‘ছয়জন ডাকাতের একজন আমাদের গাড়িটির চালকের আসনে বসে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘুরিয়ে সব ছিনিয়ে নেওয়া হয়।’ 

ছুটির দিনে ব্যাংক থেকে কোটি টাকা তোলার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কোম্পানিতে বিকাশের লেনদেন করা হয়। এটা শুধু সিটি ব্যাংকেই হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক দেশের বাইরে আছেন। এ কারণে তাঁর সই করা চেক দিয়েই টাকা তোলেন। এটা করা যায়। 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করেছেন। দ্রুতই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের আশা করছেন। 

এ সম্পর্কে কিছু জানা নেই কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোরশেদের। তিনি বলেন, তারা কিছু শোনেননি। খবর নেবেন। 

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) আসিফ ইমামের ভাষ্য, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে ছুটিতে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ