রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন আবরারের মা
Published: 16th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মা রোকেয়া খাতুন। একই সঙ্গে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের নিজ বাড়িতে ছিলেন।
রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘এখন আমাদের একটাই চাওয়া এ রায়টা যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও ভবিষ্যত ছাত্র শিক্ষা নিতে পারবেন। তারা যেন এমন কাজ আর করতে সাহস না পান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতো কোনো মায়ের যেন সন্তান হারাতে না হয়। আর কোনো ছেলেকে যেন অল্প বয়সে নির্মমভাবে জীবন দিতে না হয়। এ জন্য রায়টা দ্রুত কার্যকর করা হোক সেটাই চাওয়া।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবর র ফ হ দ ক র যকর
এছাড়াও পড়ুন:
ডিবি পরিচয়ে গাড়ি থামিয়ে কোটি টাকা লুটের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তাদের জিম্মি করে এক কোটি ১০ লাখ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়িকান্দি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ দিন রাতে ঘটনাটি জানিয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগের বাদী মো. নাজিম উদ্দিন রাজধানীর ভাটারা এলাকার দিবা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক। তিনি উল্লেখ করেন, একই কোম্পানির মাইক্রোবাসচালক মামুন শেখকে নিয়ে শনিবার দুপুরে মতিঝিলের জীবনবীমা ভবনে অবস্থিত সিটি ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা তোলেন। তারা সেখান থেকে দিবা এন্টারপ্রাইজের চাঁদপুর শাখার উদ্দেশে রওয়ানা হন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের সোনারগাঁ উপজেলার দড়িকান্দি ব্রিজ পার হতেই পেছন থেকে সিলভার রঙের টয়োটা এক্সিও ফিল্ডার মডেলের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি তাদের গতিরোধ করে। সেখান থেকে নেমে আসা ৬ সদস্যের একটি দল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দেয়।
ওই ব্যক্তিরা দিবা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিনকে জানায়, গাড়িটি তল্লাশি করতে হবে। অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা নাজিম ও চালক মামুনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে চোখ বেঁধে ও হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে থাকে। একপর্যায়ে দুটি ব্যাগে থাকা এক কোটি ১০ লাখ টাকা ও ভুক্তভোগীদের মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে অচেনা জায়গায় তাদের ফেলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় সমকালের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, ‘ছয়জন ডাকাতের একজন আমাদের গাড়িটির চালকের আসনে বসে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘুরিয়ে সব ছিনিয়ে নেওয়া হয়।’
ছুটির দিনে ব্যাংক থেকে কোটি টাকা তোলার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কোম্পানিতে বিকাশের লেনদেন করা হয়। এটা শুধু সিটি ব্যাংকেই হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক দেশের বাইরে আছেন। এ কারণে তাঁর সই করা চেক দিয়েই টাকা তোলেন। এটা করা যায়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করেছেন। দ্রুতই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের আশা করছেন।
এ সম্পর্কে কিছু জানা নেই কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোরশেদের। তিনি বলেন, তারা কিছু শোনেননি। খবর নেবেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) আসিফ ইমামের ভাষ্য, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে ছুটিতে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছেন না।