প্রতিটি ব্যাংক শাখায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কুল ব্যাংকিং চালু করতে হবে
Published: 16th, March 2025 GMT
সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংক শাখাকে নিকটবর্তী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্কুল ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নিয়মিত ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানে আর্থিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি হিসাব খোলা ও লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। আজ এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগামীকাল বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
স্কুল ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অধিকতর সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করা এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংক শাখার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার নীতি গ্রহণ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংককে তাদের প্রতিটি শাখার নিকটবর্তী কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং সেবা–সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ নীতির আওতায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে। সেগুলো হলো জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে প্রতিটি ব্যাংককে নিকটবর্তী শাখার মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি সেই ব্যাংক শাখা থেকে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা/পরিষেবা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের বিষয়ে ব্যাংকগুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে, যেন এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক ব্যাংক যুক্ত না হয়। হিসাব খোলা ও পরিচালনা, আর্থিক শিক্ষা এবং এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা আর প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা/উপজেলার স্কুল ব্যাংকিং–সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাংক শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অবহিত করবে এবং প্রতিবেদন দেবে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি (ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থী হিসাবের সংখ্যা, লেনদেনের পরিমাণ ও আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণসহ) সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিয়মিত ভিত্তিতে তথ্য জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ১০ হাজারের বেশি ব্যাংক শাখা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে চার লাখের বেশি। প্রাথমিক ভিত্তিতে একটি করে স্কুল নির্বাচন করে কাজ শুরু করা হবে। এতে আর্থিক শিক্ষা ধীরে ধীরে বাড়বে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যপূরণে তা সহায়তা করবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর থ ক শ ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে গাজাজুড়ে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজারে।
গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১১৮ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।