জমি নিয়ে বিরোধে সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙল প্রতিপক্ষ
Published: 16th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে স্থানীয় এক সাংবাদিকের দুই হাত ও এক পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার সরাই হাজিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকের নাম শাহিন খান। তিনি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রায়গঞ্জ প্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
শাহিনের বড় ভাই শামীম খান সমকালকে বলেন, শনিবার সকালে ছোট ভাই বাড়ির অদূরে গভীর নলকূপ মেরামতের কাজ দেখতে যায়। ওখানে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে পাশের শ্যামগোপ গ্রামের শাহ পরানের নেতৃত্বে একদল লোকজন শাহিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও এক পা ভেঙে দেয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর প্রথমে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা শাহিনকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রায়গঞ্জ থানার পরির্দশক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক শাহিন খানের বাবা আব্দুল বারিক খান বাদী হয়ে শনিবার রাতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
রায়গঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ র য়গঞ জ র য়গঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সেদিন রানার জন্যই খেলেছিল বাংলাদেশ
ম্যাচের আগের দিন দুর্ঘটনায় মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাঠে নেমে সেই শোককে বানিয়ে ছিলেন প্রেরণা। মাশরাফি-ঝড়ে এলোমেলো হয়ে টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী-দ্রাবিড়ের ভারত অলআউট মাত্র ১৯১ রানে। সেটি বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় তামিম, সাকিব ও মুশফিকের তিন ঝলমলে ফিফটিতে। ৫ উইকেটের জয়ে লেখা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুর্দান্ত এক উপাখ্যান। পোর্ট অব স্পেনে ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ প্রথম আলো থেকে কাভার করেছিলেন উৎপল শুভ্র। পরের দিনের পত্রিকায় প্রকাশিত এই ম্যাচ রিপোর্ট পাঠকদের স্মৃতির ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ১৮ বছর আগের সেই দিনে…
মানজারুল ইসলাম রানা কি এই ম্যাচটা দেখছিলেন? রহস্যময় অজানা যে ভূবনে চলে গেছেন তিনি, সেখানে কি ক্রিকেট-ফ্রিকেট নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়? সেই জগতের আর কেউ না ঘামালেও কেন যেন মনে হয়, ক্রিকেট অন্তপ্রাণ রানা ঠিকই কুইন্স পার্ক ওভালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন কাল।
ত্রিনিদাদের সেই কুইন্স পার্ক ওভালের দিকে, যেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটে যোগ হলো গৌরবের আরেকটি নতুন অধ্যায়। গত বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন মুছে দিয়ে বাংলাদেশ দল ফিরিয়ে আনল ১৯৯৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আপসেট হিসেবে ’৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয়ের পাশেই থাকে সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়। কাল ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ও ক্রিকেটীয় বিচারে আপসেটই। কিন্তু যে আপসেটের পূর্বাভাস দেওয়া যায়, সেটিকে কি আর তেমন আপসেট বলা যায়? বাংলাদেশ দল তো এখানে আসার পর থেকেই বলে আসছিল, ভারত-শ্রীলঙ্কার ভয়ে একদমই কম্পিত নয় তাদের হূদয়। নামে কী আসে যায়! মাঠে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।
তা ভালো বাংলাদেশ খেলল বটে। মাশরাফি-রাজ্জাক-রফিকের বোলিং, তামিম-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং—এই ম্যাচের যা কিছু হাইলাইটস তার সবই তো বাংলাদেশের অবদান। ভারতের প্রবল পরাক্রান্ত ব্যাটিং লাইন আপ মাত্র ১৯১ রানেই শেষ। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে শুরুটা হলো, সেটি অনেককেই ফিরিয়ে নিয়ে গেল ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। সে বিশ্বকাপের জয়াসুরিয়া যেন তরুণতর হয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ওপেন করতে নামলেন। মাত্র ১৭ বছরের তামিম ইকবাল এক ইনিংসেই বদলে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বাকি বিশ্বের ধারণা। জহির খানের ওভারের প্রথম বল হেলমেটে লাগল। জাতীয় দলে এসেছেন এই সেদিন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচটি ছাড়া আর কোনো বড় দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তামিম এরপর কী করতে পারেন? যা করলেন, তা এতদিন অন্য দেশের ব্যাটসম্যানদের করতে দেখে এসেছি আমরা। জহির খানের ওই ওভারেরই শেষ দুই বলে দুই বাউন্ডারি। শেষটি ডাউন দ্য উইকেট বেরিয়ে এসে।
৫৩ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন তামিম