অলৌকিক ঘটনা খুবই বিরল। তবে ক্রিকেটে ‘ঈশ্বর’ নিজে (শচীন টেন্ডুলকর) এগুলোকে যেন সাধারণ ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছিলেন। তার গৌরবময় ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসংখ্য মাইলফলক ছোঁয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। তবে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এখনো তার সেরা অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম।

২০১২ সালের এই দিনে (১৬ মার্চ), ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ এক অভূতপূর্ব কীর্তি গড়েছিলেন এবং ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় এক মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন:

সৌদি ক্রিকেট লিগ কি আইপিএলকে টেক্কা দিতে পারবে?

নতুন শুরুতে পুরোনো পাকিস্তান

সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ঘটেছিল ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। ১৬ মার্চ, বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময় টেন্ডুলকর সেই স্বপ্নের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। তার ঐতিহাসিক অর্জনের সাথে সাথে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে, আর এই মহাকাব্যিক কীর্তি চিরদিনের জন্য ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়।  

শততম সেঞ্চুরিতে মাস্টার ব্লাস্টারের ইতিহাস:
ক্রিকেট দুনিয়ায় শচীন টেন্ডুলকরের উত্তরাধিকার অমলিন। তার অসংখ্য রেকর্ডের মাঝে, ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এখনো গর্বের এক স্মরণীয় অধ্যায়। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে তিনি এই অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে তিনি এক স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন এবং চিরকালীন মহিমার অংশ হয়ে যান।  

ভারতের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন টেন্ডুলকর ও গম্ভীর। গম্ভীর দ্রুত ফিরে গেলে, মাস্টার ব্লাস্টার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন।  

ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসেও তিনি ইতিহাস লিখতে থামেননি। এক বছর অপেক্ষার পর, অবশেষে তিনি ১৪৭ বলে ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নিজের ৪৯তম ওয়ানডে শতক পূর্ণ করেন। আর এর সাথেই তিনি স্পর্শ করেন সেই স্বপ্নের ১০০তম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। এটি শুধুই ব্যক্তিগত সাফল্য ছিল না, বরং খেলায় শ্রেষ্ঠত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

শচীনের ১১৪, কোহলির ৬৬ ও সুরেশ রায়নার ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৫ উইকেটে ২৮৯ রান সংগ্রহ করে।

শচীনের অনন্য রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে ভারতের হার:  
টেন্ডুলকরের অসাধারণ সেঞ্চুরি এবং বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নার কার্যকরী ইনিংস সত্ত্বেও বোলিং ব্যর্থতায় জয় হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের। ২৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে নাজিমউদ্দিন আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ভারতকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

তামিম ইকবাল (৭০), জহিরুল ইসলাম (৫৩), নাসির হোসেন (৫৪), সাকিব আল হাসান (৪৯) ও মুশফিকুর রহিমের (৪৬*) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে ভারতীয় বোলাররা চাপে পড়ে যায়।

কঠিন সময়েও প্রভীন কুমার ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, আর অশ্বিন ও জাদেজা ১টি করে উইকেট নেন। তবে দুর্দান্ত সূচনা সত্ত্বেও, শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় ভারতকে, যা ছিল এক হৃদয়বিদারক পরাজয়।

৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ন ড লকর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী যুবক হত্যা রহস্য উন্মোচন

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাখিরপাড়া গ্রামের আলোচিত ডাকাতিকালে প্রতিবন্ধী যুবক পিয়াস মজুমদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।

মূলত ঋণের টাকা শোধ ও ব্যবসার মূলধন যোগাড় করতে ডাকাতির পথ বেছে নেয় তারা। আর ডাকাতি করতে গিয়েই প্রতিবন্ধী যুবককে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিন জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার চোরখুলী গ্রামের আতাউর শেখের ছেলে সামিউল শেখ (৩৫), একই উপজেলার আশুতিয়া গ্রামের সোহরাফ খানের ছেলে মো. মোরশেদ ওরফে কামাল (৪০) ও চোরখুলি গ্রামের রহম ভুইয়ার ছেলে শওকত ভুইয়া (৫০)। 

এদেরকে কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলা শহর ও বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় এদের কাছ থেকে পুলিশ লুণ্ঠিত ২৪ হাজার ১০০টাকা উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার জানান, হত্যা ও ডাকাতির ঘটনার দিন ১১ মার্চ নিহত পিয়াসের বাবা পল মজুমদার খোকন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরদিন ১২ মার্চ উপজেলার চোরখুলী গ্রাম থেকে সামিউল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বাগেরহাট জেলায় অভিযান চালিয়ে মো. মোরশেদ ওরফে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে গোপালগঞ্জ শহর থেকে শওকত ভুইয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এদের কাছ থেকে ২৪ হাজার ১০০টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, “এর আগে প্রথমে ৮ ও ১০ মার্চ ডাকাতির চেষ্টা চালালেও তারা ব্যর্থ হয়। পরে ১১ মার্চ তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ডাকাতি শেষে তারা লুণ্ঠিত টাকা ও মালামাল ভাগাভাগি করে নেয় এবং সেই টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে। শওকত ভুইয়ার নামে ১১টি মামলা রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কোটালীপাড়া উপজেলার লাখিরপাড় গ্রামের পল মজুমদার খোকন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত পা বেঁধে হত্যা করে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় ওই দিনই পল মজুমদার খোকন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/বাদল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শচীনের শততম সেঞ্চুরির মতো এটাও কি একটা রেকর্ড নয়!
  • গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী যুবক হত্যা রহস্য উন্মোচন
  • আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য