বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন ঐশ্বরিয়া রাই
Published: 16th, March 2025 GMT
বলিউডের সুপারস্টার ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন একাধিক কারণে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তার সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি, তিনি তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও মজাদার মন্তব্যের জন্যও খ্যাত।
সম্প্রতি, ঐশ্বরিয়া মার্কিন টিভি শো হোস্ট অপরাহ উইনফ্রের জনপ্রিয় চ্যাট শোতে উপস্থিত হয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আমেরিকান সমাজ নিয়ে কিছু আকর্ষণীয় এবং মজার মন্তব্য করেছেন, যা দর্শকদের মধ্যে হাসির ঝড় তোলে।
২০০৫ সালে শোতে তার প্রথম উপস্থিতিতে, ঐশ্বরিয়া ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা খণ্ডন করেন। যখন অপরাহ ভারতীয় চুম্বন বা সাজানো বিবাহ নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন ঐশ্বরিয়া ব্যাখ্যা করেন, "ভারতীয় মানুষরা খুবই অতিথিপরায়ণ।" শোতে উপস্থিত দর্শকরা তার সজাগ এবং পোক্ত উত্তর শুনে মুগ্ধ হন।
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্তটি আসে যখন অপরাহ তাকে আমেরিকান সমাজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করেন। সাথেসাথেই তিনি একটি কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন যা দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল সৃষ্টি করে।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে, অপরাহ যখন প্রশ্ন করেন, "আপনি সংস্কৃতির প্রতিনিধি। ভারত সাধারণভাবে আমেরিকান মহিলাদের সম্পর্কে কী ভাবে?"
ঐশ্বরিয়া সোজাসুজি উত্তর দেন, “ভারতীয় মানুষরা খুবই অতিথিপরায়ণ।” এরপর অপরাহ আবার প্রশ্ন করেন, “তারা কি মনে করে আমরা অনেক কথা বলি?” ঐশ্বরিয়া জানান, “হয়তো।”
আর শেষের প্রশ্ন ছিল, “তারা কি বলে যে আমাদের অনেক বিবাহবিচ্ছেদ হয়?” ঐশ্বরিয়া সোজা উত্তর দেন, “উহ.
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন তার বুদ্ধিমত্তা এবং হাস্যরসাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করলেন, কেন তিনি শুধু ভারতের নয়, পুরো বিশ্বের একজন জনপ্রিয় তারকা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপর হ
এছাড়াও পড়ুন:
বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুত বা রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১১১ কোটি ডলার।
গতকাল রোববার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, এর আগে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো আয় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। গত মার্চ মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে; এক মাসের হিসাবে যেকোনো সময়ের চেয়ে এটি বেশি। ফলে ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করছে। ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনলে আর বিদেশি ঋণ ও অনুদান এলেই কেবল রিজার্ভ বাড়ে। এতে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ কমেছে। ডলারের দাম না বেড়ে ১২৩ টাকার মধ্যে আটকে রয়েছে। পাশাপাশি অনেক ব্যাংক এখন গ্রাহকদের চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে পারছে। ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ডলার নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। ৮৫ টাকার ডলার বেড়ে ১২৮ টাকা পর্যন্ত ওঠে। সরকার পরিবর্তনের পর নানা উদ্যোগের কারণে প্রবাসী আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ছে না। এতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। ২০২২ সালের আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে অনেক ব্যাংক।
২০২৪ সালের ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সপ্তাহে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।