কৃষিসচিব ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপসারণ দাবিতে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে।

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেটমুখী সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধে এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি তীব্র যানজট। পরে সেনাসদস্যরা সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীর পরিচয় দেওয়া শিহাব উদ্দিন প্রথম আলো বলেন, তাঁরা এক মাস ধরে কৃষিসচিবসহ কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করছেন। এই কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন। এখনো তাঁরা বহাল তবিয়তে আছেন। তাঁরা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছেন। সে জন্য কৃষিসচিব ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা।

একই কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া আবদুর রহিম বলেন, ‘এই কৃষিসচিব বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি এখনো কীভাবে সচিব থাকেন?’

আবদুর রহিম আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

ছাইফুল আলমকেও অপসারণ করতে হবে।

সড়ক থেকে সরে যাওয়ার পর বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া সব হত্যার বিচার করা হবে: তারেক রহমান

দেশে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে। বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া সব হত্যার বিচার করা হবে।

আজ রোববার বিকেলে গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজনে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির যে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো রয়েছে, তার পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও জুলাই-আগস্ট মাসে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন, তার বিচার করা।’

বাংলাদেশে বিগত সময়ে হওয়া গুম-খুনের বিচারে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিগত সময়ে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের ত্যাগে আজকের মুক্ত বাংলাদেশ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের হারানোর মূল কারণ এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক অধিকারকেও প্রতিষ্ঠিত করা। এককথায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘একটি কথা আমি এত দিন বলিনি, আজকে বলছি, আজকে এখানে যাঁরা রয়েছেন, আমি এবং আমার ছোট ভাই, যাঁকে আমরা হারিয়েছি আমরা তাঁদেরই সদস্য। আমি ও আমার ভাই গুমের শিকার হওয়াদের অংশ।’

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদেরকে উদ্ধৃত করে তারেক রহমান বলেন, ‘হুম্মাম কিছুদিন আগে আমাকে বলেছে, আমাকে যে রুমে রাখা হয়েছে, তাঁকেও একই রুমে রাখা হয়েছে।’

দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নির্যাতিতদের জন্য সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিচার না হলে দেশে আবারও অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শহীদ পরিবারগুলোকে হতাশ না হয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছরে যাঁরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, আর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করবেন না।’

অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় গুম–খুনের শিকার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর পক্ষ থেকে তাঁদের ঈদ উপহার এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র কোষাধ্যক্ষ এ কে এম হাবিবুর রহমান মিল্লাতসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ