রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তিন সদস্যের এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আশিষ কুমার ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল।

এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে স্টেশনের ওয়াশপিট লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়াশপিটের সামনে সকালে ঢাকা থেকে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি পরিষ্কারের জন্য যাচ্ছিল, আর রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ওয়াশপিট থেকে বের হচ্ছিল। এ সময় ট্রেন দুটি আড়াআড়ি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে যুবক নিহত 

পাওনা টাকা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪

সংঘর্ষে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হলেও ট্রেনগুলো ফাঁকা থাকায় হতাহত হয়নি। বিকল্প লাইন থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি।

দুর্ঘটনার পর ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে। তবে মেরামতজনিত কারণে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ডাউন শিফটে রেখে বনলতা এক্সপ্রেসের রেক ব্যবহার করে পদ্মা এক্সপ্রেস চালানো হয়। ফলে পদ্মা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়েন। পরে রাতেই এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ র লওয় র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বাহাদুরের দাম চাওয়া হচ্ছে ৯ লাখ

‘ঘোড়াটির বয়স পাঁচ বছর। নাম বাহাদুর। ভারতীয় মারোয়ারী তাজী জাতের প্রাণীটি দ্রুত দৌঁড়াতে পারে। একে নিয়ে বিভিন্ন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। অনেক পুরস্কারও পেয়েছি। খয়েরি লাল-সাদা ঘোড়াটির যত্ন নিয়েছি নিজেই। এবারের মেলায় এর দাম ঠিক করেছি ৯ লাখ টাকা। অনেকে বিভিন্ন অংকের দাম বললেও এ পর্যন্ত সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাম উঠেছে।’ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ৫১৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুর দোল পূর্ণিমার মেলায় কথাগুলো বলছিলেন বাহাদুরের মালিক নওগাঁর ধামইরহাটের আব্দুল মজিদ।

ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক আর দর-দামে এখন মুখর ঘোড়ার মেলা। ক্রেতা-বিক্রেতারা দামাদামি করছেন। সাধ্যের মধ্যে মিললে হচ্ছে বেচাকেনা। এ মেলায় এবার প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ভারতীয় মারোয়ারী তাজী জাতের ঘোড়াটি। এ ছাড়া পঙ্খিরাজ, বিজলি, কিরণমালা, বাংলার রানী, সুইটিসহ বাহারি নামের ঘোড়াও রয়েছে। তাদের দেখতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। ক্ষিপ্রতা আর বুদ্ধিমত্তা দেখে পছন্দের ঘোড়া কিনতে ক্রেতাদের মধ্যেও রয়েছে প্রতিযোগিতা।

আয়োজকরা জানান, দেশের একমাত্র ঘোড়া বেচাকেনার হাট গোপীনাথপুর দোলের মেলা। সারাদেশের ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে মাসব্যাপী চলে মেলা। কিন্তু পশুর মেলা হয় প্রথম ১০ দিন। দোল পূর্ণিমার কয়েকদিন আগে থেকে মেলায় অবস্থান নিয়েছেন ঘোড়া ব্যবসায়ীরা। মহিষ, গরু, ভেড়া ও ছাগলও বেচাকেনা হয় এখানে। দরদাম ঠিকঠাকের পর পাশের একটি মাঠে ঘোড়া নিয়ে গিয়ে ক্রেতাকে দেখানো হয় ঘোড়দৌড়।

নীলফামারীর ডোমার থেকে আবুল হোসেন ঘোড়া কিনতে এসেছিলেন মেলায়। তিনি বাহাদুরের দাম বলেছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। আরও দুই-একটি দেখার পর তিনি কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সওয়ারি ও ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, আগে তাদের বাপ-দাদারা মেলায় ঘোড়া বেচাকেনা করতেন। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারাও এ পেশায় রয়েছেন। আগে ঘোরদৌড়ের বড় মাঠ থাকলেও এখন সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। এতে বেচাকেনায়ও সমস্যা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, গোপীনাথপুরের মেলাটি প্রাচীন মেলা। এখানে বিশালাকৃতির ঘোড়া এসেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রমজানের পবিত্রতা ও নিরাপত্তার জন্য বিনোদনমূলক যাত্রা, সার্কাসের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ