হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমানকে। সুস্থ হওয়ায় ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এই সংগীতশিল্পী। এ আর রহমান অসুস্থ হওয়ার পর সবার দৃষ্টি ছিল তার স্ত্রী সায়রা বানুর দিকে। নীরবতা ভেঙে তিনি জানালেন— “আমাকে ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ বলবেন না।”

সায়রা বানু সবার উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের জানাতে চাই, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এখনো বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। এখনো আমরা স্বামী-স্ত্রী। আমরা আলাদা আছি। কারণ গত দুই বছর ধরে আমি ভালো বোধ করছিলাম না। তা ছাড়া আমি তাকে খুব বেশি চাপ দিতে চাইনি।”

‘প্রাক্তন স্ত্রী’ না বলার অনুরোধ জানিয়ে সায়রা বানু বলেন, “দয়া করে ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ বলবেন না। এটা ঠিক যে আমরা আলাদা আছি। কিন্তু আমার প্রার্থনা সবসময় তার সঙ্গে আছে। আমি সবাইকে, বিশেষ করে তার পরিবারের কাছে একটি কথা বলতে চাই যে, দয়া করে তাকে খুব বেশি চাপ দেবেন না, তার যত্ন নেবেন। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ।”

আরো পড়ুন:

অসুস্থ এ আর রহমান হাসপাতালে

আমির খানের প্রেমিকা গৌরিকে কতটা জানেন?

১৯৯৫ সালের ১২ মার্চ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ আর রহমান ও সায়রা বানু।  এ দম্পতির তিন সন্তান। দুই মেয়ে খাতিজা রহমান, রহিমা রহমান ও ছেলে আমিন রহমান। গত বছরের শেষ লগ্নে হঠাৎ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন এ আর রহমানের ভক্ত-অনুরাগীরা।

খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারান এ আর রহমান। এরপর জীবিকার সন্ধানে কাজে নামতে হয় তাকে। মাত্র ১১ বছর বয়সে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার বিভিন্ন সুরকারের সঙ্গে বাজাতে শুরু করেন রহমান। ২৩ বছর বয়সে সপরিবারে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এ আর রহমান। তার নাম ছিল দিলীপ কুমার।

১৯৯২ সালে তামিল ভাষার ‘রোজা’ সিনেমা দিয়ে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গীলা’ সিনেমার সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে তার বলিউড যাত্রা। ড্যানি বয়েলের ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমার জন্য অস্কার, গ্র্যামি, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নেন এ আর রাহমান।

তা ছাড়াও এ আর রহমানের প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে ভারতের ছয়টি জাতীয় পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ‘পদ্মশ্রী’ (২০০০), ‘পদ্মভূষণ’ (২০১০) প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন এ আর রহম ন ন এ আর র

এছাড়াও পড়ুন:

রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়

পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।

এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।

তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।

এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ