নেত্রকোনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তরুণ গ্রেপ্তার
Published: 16th, March 2025 GMT
টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেব–দেবীর মূর্তি ভাঙার ভিডিও আপলোড করে বিদ্বেষ ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগে নেত্রকোনার এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বারহাট্টা উপজেলার ধারাম পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) একটি দল।
গ্রেপ্তার তরুণের নাম জোবায়েদ ইসলাম (২২)। তিনি ধারাম পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রয়াত আবুল মিয়ার ছেলে। জোবায়েদ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোবায়েদ ইসলাম ফেসবুকে ‘আয়নার ভালোবাসা’ ও ‘মো.
মির্জা সায়েম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি জোবায়েদের মুঠোফোনের গ্যালারিতেও মূর্তি ভাঙার ভিডিওগুলো পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মূর্তি ভাঙায় তাঁর সম্পৃক্ততারও প্রমাণ মিলেছে। এ ব্যাপারে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেইন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেদিন রানার জন্যই খেলেছিল বাংলাদেশ
ম্যাচের আগের দিন দুর্ঘটনায় মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাঠে নেমে সেই শোককে বানিয়ে ছিলেন প্রেরণা। মাশরাফি-ঝড়ে এলোমেলো হয়ে টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী-দ্রাবিড়ের ভারত অলআউট মাত্র ১৯১ রানে। সেটি বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় তামিম, সাকিব ও মুশফিকের তিন ঝলমলে ফিফটিতে। ৫ উইকেটের জয়ে লেখা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুর্দান্ত এক উপাখ্যান। পোর্ট অব স্পেনে ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ প্রথম আলো থেকে কাভার করেছিলেন উৎপল শুভ্র। পরের দিনের পত্রিকায় প্রকাশিত এই ম্যাচ রিপোর্ট পাঠকদের স্মৃতির ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ১৮ বছর আগের সেই দিনে…
মানজারুল ইসলাম রানা কি এই ম্যাচটা দেখছিলেন? রহস্যময় অজানা যে ভূবনে চলে গেছেন তিনি, সেখানে কি ক্রিকেট-ফ্রিকেট নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়? সেই জগতের আর কেউ না ঘামালেও কেন যেন মনে হয়, ক্রিকেট অন্তপ্রাণ রানা ঠিকই কুইন্স পার্ক ওভালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন কাল।
ত্রিনিদাদের সেই কুইন্স পার্ক ওভালের দিকে, যেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটে যোগ হলো গৌরবের আরেকটি নতুন অধ্যায়। গত বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন মুছে দিয়ে বাংলাদেশ দল ফিরিয়ে আনল ১৯৯৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আপসেট হিসেবে ’৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয়ের পাশেই থাকে সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়। কাল ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ও ক্রিকেটীয় বিচারে আপসেটই। কিন্তু যে আপসেটের পূর্বাভাস দেওয়া যায়, সেটিকে কি আর তেমন আপসেট বলা যায়? বাংলাদেশ দল তো এখানে আসার পর থেকেই বলে আসছিল, ভারত-শ্রীলঙ্কার ভয়ে একদমই কম্পিত নয় তাদের হূদয়। নামে কী আসে যায়! মাঠে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে।
তা ভালো বাংলাদেশ খেলল বটে। মাশরাফি-রাজ্জাক-রফিকের বোলিং, তামিম-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং—এই ম্যাচের যা কিছু হাইলাইটস তার সবই তো বাংলাদেশের অবদান। ভারতের প্রবল পরাক্রান্ত ব্যাটিং লাইন আপ মাত্র ১৯১ রানেই শেষ। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে শুরুটা হলো, সেটি অনেককেই ফিরিয়ে নিয়ে গেল ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। সে বিশ্বকাপের জয়াসুরিয়া যেন তরুণতর হয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ওপেন করতে নামলেন। মাত্র ১৭ বছরের তামিম ইকবাল এক ইনিংসেই বদলে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বাকি বিশ্বের ধারণা। জহির খানের ওভারের প্রথম বল হেলমেটে লাগল। জাতীয় দলে এসেছেন এই সেদিন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচটি ছাড়া আর কোনো বড় দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তামিম এরপর কী করতে পারেন? যা করলেন, তা এতদিন অন্য দেশের ব্যাটসম্যানদের করতে দেখে এসেছি আমরা। জহির খানের ওই ওভারেরই শেষ দুই বলে দুই বাউন্ডারি। শেষটি ডাউন দ্য উইকেট বেরিয়ে এসে।
৫৩ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন তামিম