আবারও ৬ বলে ৬ ছক্কা মারলেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। কাল এশিয়ান লিজেন্ডস লিগের এলিমিনেটরে আফগানিস্তান পাঠানস দলের স্পিনার আয়ান খানের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ৬টি ছক্কা মেরেছেন পেরেরা।

এর আগে ২০২১ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা আর্মি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ৬ বলে ৬টি ছক্কা মেরেছিলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দুবার ৬ বলে ৬ ছক্কা মারার রেকর্ড গড়লেন পেরেরা।

শুধু ওভারের প্রতিটি বলে ছক্কাই নয়, কাল সেঞ্চুরিও করেছেন পেরেরা। শ্রীলঙ্কা লায়ন্সের হয়ে খেলেছেন অপরাজিত ৩৬ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। উদয়পুর মিরাজ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পেরেরা কাল ব্যাটিংয়ে নামেন ইনিংসের দশম ওভারে। ২৩ বলে যখন ফিফটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন, তখন ইনিংসের ১৭তম ওভার চলছে।

১৯ ওভার শেষে ৭ ছক্কায় ৩০ বলে ৭২ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন শ্রীলঙ্কা লায়ন্সের অধিনায়ক পেরেরা। ইনিংসের শেষ ওভার ৬ ছক্কার সঙ্গে তিনটি ওয়াইডও দেন আয়ান। মানে এই ওভারে তিনি রান খরচ করেছেন ৩৯, যা টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। পেরেরার নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কা লায়ন্স তোলে ২৩০ রানের বড় সংগ্রহ।

আরও পড়ুনশচীনের শততম সেঞ্চুরির মতো এটাও কি একটা রেকর্ড নয়!৫৮ মিনিট আগে

জবাবে আফগানিস্তান পাঠানস করতে পারে ৪ উইকেটে ২০৪ রান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৭০ রান করেন আসগর আফগান। এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ টুর্নামেন্টটি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নয়। আর এমনিতেও লিজেন্ডস লিগগুলোতে খেলেন সাবেক ক্রিকেটাররা। এসব টুর্নামেন্টের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে।

একবার করে ওভারে ৬ ছক্কা মারার কীর্তি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স, ভারতের রবি শাস্ত্রী ও যুবরাজ সিং, দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস, ইংল্যান্ডের রস হোয়াইটলি, আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই, নিউজিল্যান্ডের লিও কার্টার, নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাসকারান মালহোত্রার।

এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীর্তিটা শুধু চারজনের। টি-টোয়েন্টিতে যুবরাজ সিং, কাইরন পোলার্ড ও দীপেন্দ্র সিং এবং ওয়ানডেতে হার্শেল গিবসের।

আরও পড়ুনআম্বানি পরিবারের ক্যাবিনেটে ১২ নম্বর ট্রফি, ফ্র্যাঞ্চাইজি দুনিয়ায় কার কত ট্রফি২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাদা কাপড় বাটিকে রঙিন হয় যে গ্রামে

কমলপুর কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম। আয়তনে ছোট হলেও দেশজুড়ে কমলপুর গ্রামের বেশ পরিচিতি। কারণ, বাটিক পোশাকের গ্রাম বা বাটিকপল্লি হিসেবে নাম কুড়িয়েছে এটি। এখানকার বাসিন্দারা সারা বছরই বাহারি বাটিকের পোশাক তৈরি করেন। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে এই বাটিকপল্লিতে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণে।

কমলপুর গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ল বাটিকপল্লির কর্মব্যস্ততা। তৈরি হচ্ছে রংবেরঙের বাটিকের পোশাক। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে এ বছর নানা ধরনের নকশায় তৈরি করা হচ্ছে বাটিক শাড়ি ও থ্রি-পিস। সাদা কাপড়ের মধ্যে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা আর ক্রেতার চাহিদার কথা ভেবে নিত্যনতুন নকশা ফুটিয়ে তুলছেন কারিগরেরা।

কমলপুর বাটিকপল্লির তিনটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, প্রথমে প্রিন্ট করার জন্য কাপড় কেটে প্রস্তুত করা হয়। এরপর মোম দিয়ে সেই কাপড়ে নানা ধরনের নকশা করেন কারিগরেরা। রঙের স্থায়িত্ব বাড়াতে রং করার পর কাপড় সেদ্ধ করে একটি দল। সেখান থেকে তুলে কাপড়ে মাড় দিচ্ছে আরেক দল। এরপর সেই কাপড় কয়েক দফা পানিতে ধুয়ে মাঠে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। শুকানোর পর কাপড় ইস্তিরি করে বাজারজাত করার জন্য তৈরি করা হয়।

বাটিকের সিল্ক ও সুতি শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, লুঙ্গি, বেডশিট, গজ কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির জন্য এই গ্রামে অন্তত ১০টি কারখানা আছে। শুরুটা কমলপুর থেকে হলেও এখন আশপাশের কয়েকটি গ্রামেও বাটিকের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তবে গুণে ও মানে এখনো সেরা বলে ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে কমলপুরের বাটিকের পণ্য।

কমলপুর বাটিকপল্লির একটি কারখানার মালিক মো. রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের দিকে আমার চাচা লাল মিয়া মেম্বার এই গ্রামে বাটিক শিল্পের যাত্রা শুরু করেন। তাঁর হাত ধরেই বাটিক কুমিল্লার ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। চাচা ভারতের কলকাতা ও ত্রিপুরা রাজ্যে কাপড়ে মোম ও রং দিয়ে ব্লক তৈরির কাজ শেখেন। এরপর গ্রামে এসে তিনি বাটিক তৈরির কাজ ছোট আকারে শুরু করেন। কালের পরিক্রমায় বাটিকের চাহিদা বাড়তেই থাকে। বিশ্বের অনেক দেশে যাচ্ছে আমাদের গ্রামের বাটিকের পোশাক। আমাদের তৈরি এই বাটিকের পোশাক গুণে ও মানে অনন্য এবং পরতেও আরামদায়ক।’

বাটিক করার জন্য প্রথমে সাদা কাপড় সংগ্রহ করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ