জুরাসিক পার্ক সিনেমায় কৃত্রিমভাবে তৈরি ডিমের মাধ্যমে শত শত বছর পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছিল ডাইনোসর। সিনেমার সেই কল্পকাহিনির আদলে একইভাবে মুরগির ডিমের কোষের ডিএনএ পরিবর্তন করে হারিয়ে যাওয়া ডোডো পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে সাদা লেগহর্ন মুরগির ডিমের কোষের ডিএনএতে লাল মোরগের জেনেটিক কোডের একটি অংশ প্রবেশ করিয়ে গবেষণা করছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এই পদ্ধতিতে জিনগতভাবে মুরগির বাচ্চার ভ্রূণে বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন করা হবে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যুক্তর করার জন্য ডিএনএর অংশ সন্নিবেশ করানো হবে। বিজ্ঞানীরা চারটি মূল জিন পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন, যা পালকের রং, পায়ের রং, ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার সময় ও মুখের সাজসজ্জার শৈলীসহ সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

বিজ্ঞানী অ্যানা বেরেনসন বলেন, ‘এখানে আমাদের লক্ষ্য, কোন ডিএনএ গুরুত্বপূর্ণ, তা চিহ্নিত করা। তারপরই আমরা অদলবদল করব। আমাদের প্রত্যাশা, গৃহপালিত মুরগিকে সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে জিনোম প্রকৌশল পদ্ধতি ব্যবহার করা। এতে ডোডো পাখিকে পুনরুজ্জীবিত করা যেতে পারে। এই পাখি সতেরো শতকে ভারতীয় মহাসাগরের মরিশাস থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে।

ডোডো পাখির বৈজ্ঞানিক নাম রাফাস কুকুলাটাস। বিলুপ্ত এই পাখি, যা ভারত মহাসাগরের মাদাগাস্কারের পূর্বে মরিশাস দ্বীপের স্থানীয় পাখি ছিল। ডোডোর নিকটতম প্রজাতি ছিল রড্রিগেস সলিটায়ার। এই দুই পাখি রাফিনা নামক উপ-উপজাতি গঠন করে। কবুতর ও ঘুঘু পাখিও এদের পরিবারের অংশ। ডোডোর সবচেয়ে কাছের জীবিত প্রজাতি বলা হয় নিকোবর কবুতর। বিভিন্ন ফসিলের তথ্য থেকে জানা যায়, ডোডোর উচ্চতা ছিল প্রায় ৬২ দশমিক ৬ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার। বন্য অবস্থায় ওজন ছিল ১০ দশমিক ৬ কেজি থেকে ১৭ দশমিক ৫ কেজি।

সূত্র: দ্য টাইমস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রগ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ ঘরে নারীর লাশ শরীর ব্লেডে চেরা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিজ ঘরে পাওয়া গেছে শামসুন্নাহার চৈতি (২৬) নামের এক নারী শ্রমিকের লাশ। আজ রোববার ভোরে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে চৈতির স্বামী সাইফুল ইসলাম পলাতক। তিনিই স্ত্রীকে নির্যাতনের পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের ধারণা। 

নিহত শামসুন্নাহার চৈতি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানাধীন হাড়িয়াগাই এলাকার সামসুউদ্দিন মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলামের বাড়িও একই এলাকায়। 

স্থানীয় সূত্রের বরাতে পুলিশ জানায়, দুপ্তারা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকার একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কর্মরত ছিলেন চৈতি। একই এলাকার মাসুম মিয়ার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। রোববার ভোরে অন্য ভাড়াটিয়ারা ঘরে চৈতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারা বিষয়টি বাড়িমালিক মাসুমকে জানালে তিনি আড়াইহাজার থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। 

প্রতিবেশী ও অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে সাইফুলের সঙ্গে ও চৈতির বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো দু’জনের মধ্যে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহত নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্লেড জাতীয় জিনিস দিয়ে কাটার চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দৈহিক নির্যাতনের পর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ