‌‘আমরা আনন্দ করার মেজাজে নাই, তাই নরমালি গত বিজয় দিবসে যেমন হয়নি এবারও স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না।’ এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল ফিতর ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

২৬ মার্চ কুচকাওয়াজ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ ডিসেম্বর হয়নি, এই ২৬ মার্চেও কুচকাওয়াজ হচ্ছে না।’ কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘নরমালি গতবার যেমন হয়নি এবারও হচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আমরা ওয়ারমুডিং আছি, আনন্দ করার মেজাজে নাই।’

সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আজকের সভায় গতানুগতিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপনারা জানেন, রমজান চলছে, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদের ছুটি এই তিন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর আগের মিটিংয়ে আমরা ঈদের ছুটি নিয়ে ও বেতন ভাতা নিয়ে শ্রমিকদের যে অসন্তোষ থাকে সেগুলো বন্ধে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। যেমন শ্রমিকদের বেতন নির্ধারিত সময়ে যাতে দেওয়া হয় সেজন্য বিকেএমই’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় যেমন, ঈদযাত্রায় যেন চাঁদাবাজি, ছিনতাই না হয়। বিভিন্ন শপিংমলগুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।’

২৬ মার্চ নিয়ে কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি দেখছি না। আমরা কোনো হুমকিও দেখছি না।’  

পোশাক শ্রমিকদের ঈদের ছুটি অন্যান্য বছরের মতো ধাপে ধাপে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা হতে পারে, সে বিষয়ে মালিকরা ওয়ার্কাউট করবেন। তবে আমরা বলেছি বেতন, ভাতা যাতে নির্ধারিত সময়ে পায়। কোনো প্রতিষ্ঠার যাতে ধ্বংস না হয়।’

ঈদে ঢাকা ফাঁকা হয়ে যায়, সে সময় চুরি ঢাকাতি হয়, সে বিষয়ে বিশেষ কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি থাকবে। ইত্যোমধ্যেই দেখেছেন পুলিশ আগে চেয়ে শক্ত হয়েছে, আরও শক্ত হবে। আমরা কোনো হুমকি দেখছি না।

দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কি আগের থেকে স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে চাচা-চাচিসহ ৪ জন হাসপাতালে

ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে চারজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চাচা, চাচি ও চাচাত দুই ভাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার পাটিয়াডাঙ্গী বাজারের খড়িবাড়ী হঠাৎপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, চাচা আব্দুল জলিল, চাচি পারুল বেগম, চাচাত ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউনুস আলী।

গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিকদের আব্দুল জলিল বলেন, ‘‘গতকাল রাতে জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ভাড়া করা লোক এনে হামলা করা হয়েছিল। আমি তারাবির নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইয়ে বৌ খুব ডেঞ্জারাস। তিনি তার ভাইয়ের ছেলেকে ডেকে এনে আমার বড় ছেলেকে মারধর করেন৷ রাতে বিষয়টি কুলায় উঠতে পারিনি। পরদিন সকালে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করি। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলেকে শাসন করি। লাঠি দিয়ে মারি। এরই মধ্যে আমার আরেক ভাতিজা সাদেকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।’’  

আরো পড়ুন:

সংকট নিরসনে বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ হবে ২ হাজার চিকিৎসক

রাজশাহীতে চিকিৎসাসেবা কার্যত বন্ধ, রোগীদের ভোগান্তি

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, ‘‘ছুরিকাঘাতে আহত দুইজনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে।’’ 

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম নাজমুল হুদা জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে। তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে। 
 

ঢাকা/হিমেল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ