রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ডিআইজি প্রশাসন কাজী ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপির উপ-কমিশনার (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান। 

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য এবং বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে আসা পলাশ হাসান নামে এক বাদীকে মারধর ও কর্তব্যরত কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে ওই ব্যক্তিকে গুলি করতে উদ্যত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি অভ্যন্তরীণ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন

শ্রীপুরে ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে রেজাউলকে শ্বাসরোধে হত্যা: পুলিশ  

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর কোতোয়ালি থানায় পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর, কনেস্টবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করার চেষ্টা এবং একজন পরিদর্শক পদবির কর্মকর্তার ওপর হাত তোলার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে পুলিশ। পুলিশ হেডকোর্য়াটার্সে প্রতিবেদনও জমা পড়ে।

আরপিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান বলেন, ‍“থানায় বাদীকে মারধর, গুলির চেষ্টার বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে জানানো হয়েছে। গত শনিবার তাকে রংপুর থেকে প্রত্যাহার করে হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।”

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনায় মামলা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর চার আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন আদালত। 

রবিবার (১৬ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেন চুনারুঘাটের স্থানীয় সংবাদকর্মী নুরুল আমিন। 

মামলাটি আমলে নিয়ে হবিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল ইসলাম মামলার আসামি মোতাল্লিব মিয়া, তার ছেলে বকুল, মকুল ও সেকুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন। 

বাদিপক্ষের আইনজীবী ফখরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুনানিকালে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন- বাদী মামলা না করলেও আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা করতেন। তিনি নির্যাতনের ভিডিও দেখেছেন বলেও শুনানীকালে জানান। 

বাদিপক্ষের হয়ে ১৫/২০ জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে মোস্তফা ফার্মেসির কাছে আসামিরা অজ্ঞাত একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। 

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখার পর চুনারুঘাট থানার একদল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর থেকে নির্যাতনকারীরা পলাতক আছেন বলে পুলিশ জানায়।

ঢাকা/আজহারুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ