টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফিরোজকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে মির্জাপুর থানা পুুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

আসামি ফিরোজ মির্জাপুুর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল রশিদ মিয়ার ছেলে। পেশায় অটোরিকশা চালক। এরআগে এ ঘটনায় ফিরোজের ছেলে সাব্বির হোসাইন (২১) কে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন রামনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামি ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফিরোজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পাঁচ  দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অটোরিকশাচালক ফিরোজ শিশুটির নানির বাড়ির পাশের জমিতে সার দিচ্ছিল। এ সময় ওই জমির সঙ্গেই শিশুটি বরই গাছ থেকে বরই কুড়াচ্ছিল। তখন ফিরোজ শিশুটিকে কৌশলে ডেকে একটি টয়লেটের ভেতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখানো হয় শিশুটিকে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে বারবার জিজ্ঞেস করায় একপর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি পুরো ঘটনা মাকে খুলে বলে। ধীরে ধীরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। 

পরে ধর্ষণের ঘটনার ধামাচাপা দিতে স্থানীয় আব্দুল মালেক, ইউনূস, বাবলু, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনার সপ্তাহখানেক পর গ্রাম্যসালিশের আয়োজন করে। সালিশে অভিযুক্ত ধর্ষক ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাম্য মাতাব্বরদের চাপের মুখে সালিশটি মেনে নেয় অসহায় পরিবারটি। তবে জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী পরিবারকে দেওয়া হয়নি। 

এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ রাতে ভুক্তভোগী পরিবার ফিরোজকে প্রধান করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/কাওছার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর পর ব র ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে কোটি টাকা ডাকাতি

সোনারগাঁয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফিল্মি স্টাইলে একটি বেসরকারি কোম্পানির ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের টাকা নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়িকান্দি ব্রিজ সংলগ্নে এই ঘটনা ঘটে।  ডাকাতির ঘটনায় একই রাতে দিবা এন্টারপ্রাইজ নামক কোম্পানির ম্যানেজার মো. নাজিম উদ্দিন বাদী সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগপত্রে তুলে ধরা হয়েছে, ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার 'দিবা এন্টারপ্রাইজ' নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নাজিম উদ্দিন ও একই কোম্পানির মাইক্রোবাস চালক মামুন শেখ (৪৫)

গত শনিবার দুপুরে ঢাকার মতিঝিল জীবন বীমা ভবনে থাকা সিটি ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা হতে ১ কোটি দশ লাখ টাকা উত্তোলন করে তাদেরই চাঁদপুরের দিবা এন্টারপ্রাইজ শাখার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

যাত্রাপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনের সোনারগাঁ উপজেলার দড়িকান্দি ব্রীজ পার হতেই পেছনে থাকা সিলভার রঙের একটি এক্সজিও ফিল্ডারযোগে অজ্ঞাতনামা ৬ সদস্যের একটি ডাকাত গ্রুপ তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ডাকাত সদস্যরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী ম্যানেজারকে গাড়িটি তল্লাশির কথা বলেন। 

একপর্যায়ে ডাকাত সদস্যরা ভুক্তভোগীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ বেধে ও হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে মাইক্রোবাসযোগে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে অপরিচিত একটি স্থানে থামিয়ে কোম্পানির মাইক্রোবাসে থাকা দুটি ব্যাগের ১ কোটি ১০ লাখ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিস ডাকাতি করে চলে যান।

ছুটিরদিন হওয়া সত্বেও ব্যাংক হতে কোটি টাকা উত্তোলনের বিষয়টি জানতে অভিযোগের বাদী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানিতে বিকাশের লেনদেন করা যায়। এটা শুধু সিটি ব্যাংকই করেন। আমাদের মালিক দেশের বাহিরে থাকায় উনার সই করা চেকের মাধ্যমে আমরা টাকা তুলেছি। এটা করা যায়।

তিনি বলেন, ৬ ডাকাতের একজন আমাদের গাড়িটি চালিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই ঘন্টা ঘুরিয়ে তারপর সব নিয়ে গেছেন। 

এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারীকে একাধিক ফোন দেওয়া সত্বেও তিনি কল রিসিভ করেনি। তবে পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, এ ঘটনার স্পট আমি পরিদর্শন করেছি। প্রযুক্তির সহয়তায় আমরা তদন্তের চেষ্টা করছি। 

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- সার্কেল) আসিফ ইমাম জানান, আমি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে আমি ছুটিতে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ