আবারও বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিল কিউবায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে। এতে রাজধানী হাভানাসহ সারা দেশ বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে পড়ে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়।

দেশটির ১ কোটি ১০ লক্ষাধিক মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে যায়। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে কিউবায় চতুর্থবার জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল। কিউবার জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় জানায়, রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে কিউবার পশ্চিমাঞ্চলের একটি সাবস্টেশনে ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।

রাজধানী হাভানায় সিএনএনের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তাঘাট ও ভবন সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢাকা পড়েছে। লোকজন বৈদ্যুতিক টর্চ ব্যবহার করে চলাচল করছে।

কিউবায় জরাজীর্ণ অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এমন বিদ্যুৎ বিপর্যয় আগেও হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতির জন্য আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছিলেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, কমিউনিস্ট সরকারের অবকাঠামোয় বিনিয়োগের ঘাটতিও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

এদিকে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কিউবার প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো ক্রুজ বলেন, সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশটির বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘গাছে পেরেক ব্যবহার থেকে সরে আসতে হবে’

গাছ আমাদের বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। তাই গাছে পেরেক ব্যবহার থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে।

আজ রোববার হবিগঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। গাছ সুরক্ষায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ দেশের ২৮টি জেলায় মাসব্যাপী পেরেক অপসারণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বন বিভাগ। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. ফরিদুর রহমান। সভায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গাছের প্রতি ভালোবাসা আরও বাড়াতে হবে। কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গাছের গায়ে পেরেক দিয়ে বিলবোর্ড ও ফেস্টুন স্থাপন করছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল প্রমুখ।

পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে পেরেক দিয়ে আটকানো বিলবোর্ড, ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনডিসি জামাল উদ্দিন, বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেলসহ বন বিভাগের লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ