ম্যানসিটির জন্য ৯ ম্যাচের সবই ফাইনাল!
Published: 16th, March 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে অনেকটা নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিলেন পেপ গার্দিওলা। চলমান মৌসুমটি এই স্প্যানিশ কোচের নবম মৌসুম ইপিলে। আগের ৮ মৌসুমের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটিকে ত্তিনি ৬টি শিরোপা জিতেছেন। অথচ চলমান মৌসুমে গার্দিওলা আর তার দল ম্যানসিটির অবস্থা এতটাই করুণ যে, বাকি ম্যাচগুলো থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট না পেলে, শেষ চারে থেকে মৌসুমে শেষ করা কঠিন হয়ে যাবে।
শনিবার (১৫ মার্চ, ২০২৫) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাইটনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানসিটি। ২৯ ম্যাচ শেষে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা নিউক্যাসল ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। দশ মিনিট পর পেরভিস এস্তুপিনান সমতায় ফেরান সফরকারীদের।
আরো পড়ুন:
ম্যানসিটিতে ‘নতুন মেসি’ নিয়ে আসলেন গার্দিওলা
হেরে তরুণ ফুটবলার কেনার কথা জানালেন গার্দিওলা
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আবারও সিটিকে এগিয়ে দেন মিশরীয় স্ট্রাইকার ওমর মারমুশ। তবে বিরতির পর খেলা শুরু হলে ৩ মিনিটের মাথায় সিটি ডিফেন্ডার আবদুকোদির খুসানভের আত্মঘাতী গোলের কারণে দুই দলকে এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। যা ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ব্রাইটনের প্রথম পয়েন্ট।
এই ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করে হালান্ড একটা মাইলফক ছুঁয়েছেন। এই ২৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ১০০ প্রিমিয়ার লিগ গোলে (গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে) অবদান রেখে ফেলেছেন ৯৪ ম্যাচে। যা আগে কখনোই কেউ করেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়েরারের। তার লেগেছিল ১০০ ম্যাচ।
এই মৌসুমে সিটির ম্যাচ বাকি আছে আর ৯টি। পরবর্তী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্থান পেতে হলে কঠিন সব মহারণ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। গার্দিওলা এই ব্যাপারে বলেন, “আমি মনে করি, শেষ পর্যন্ত ৯টি ম্যাচই জিততে হবে, ৯টি ম্যাচই ফাইনাল।”
নিজেকে ফুটবল মাস্টার দাবি করে এই চ্যালেঞ্জ পারি দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস গার্দিওলার, “আমি সবসময় আত্মবিশ্বাসী। আমি একজন মাস্টার। আমি সবকিছুর মধ্যে ইতিবাচকতা খুঁজে পাই। আমি জানি এটি কঠিন হবে।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের প্রজ্ঞাপন দ্রুত সময়ের মধ্য দাবি
৪৩তম বিসিএসে দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়া প্রার্থীরা। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ও গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থী ফারিয়া ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত শাহ মো. রায়হান মিয়া এবং খাদ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত খায়রুল হোসেন। অন্যান্য ক্যাডারে বাদ পড়া প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা বলেন, ‘বিসিএসের ইতিহাসে একবার গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর নিয়োগ স্থগিত করার উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি নেই। আমাদের নিয়োগ স্থগিত করে ৩০ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশিত হলে ৩১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। এরপর ২ জানুয়ারি আমাদের কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়। আমরা আবেদন করি এবং সুবিচারের আশায় অপেক্ষা করতে থাকি। এরপর ৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, কারও বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারাদেশ না থাকে, তবে তাঁরা যোগদান করতে পারবেন। কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সেই গেজেট আলোর মুখ দেখেনি। আমাদের জীবন যেন থমকে গেছে সেই ৩০ ডিসেম্বরে।’
আরও পড়ুনচিকিৎসকদের জন্য বিশেষ বিসিএস কি ৪৮তম৭ ঘণ্টা আগেপ্রার্থীরা আরও বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে ৪৩তম বিসিএসে আমাদের ব্যাচমেটরা গত ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আসন্ন ঈদুল ফিতরের বেতন-বোনাসসহ পরিবারের সাথে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেখানে আমরা ২২৭ জন পরিবারকে মুখ দেখানোর অবস্থায়ও নেই। আমাদের অনেকেই তাদের পিতা-মাতার বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে এত বড় দুঃসংবাদ এখনো পরিবারকে জানাননি, কারণ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ পাব এই আশ্বাস পেয়েছিলাম। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন আমাদের ২২৭ জনের মধ্যে নিরপরাধ সকলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন, আমাদের আত্মসম্মানের প্রশ্ন। আমরা আশাবাদী রাষ্ট্র আমাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের স্বপ্নের চাকরিতে যোগদানের সুযোগ করে দেবে।’
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা: বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট-১ ১২ মার্চ ২০২৫৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হচ্ছে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি৪ ঘণ্টা আগে