রায় বহাল রাখায় আবরার ফাহাদের মায়ের সন্তুষ্টি প্রকাশ
Published: 16th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।
রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “দীর্ঘ ছয় বছর পরেও এদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। এই জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এখন চাওয়া এই রায় যেন দ্রুত কার্যকরী হয়। এই রায় কার্যকরী হলে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।”
একই সাথে আবরার ফাহাদের স্বজনেরাও রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবর র ফ হ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি রিমান্ডে
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সিদ্দিক মিয়াকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিফাত উল্লাহ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল হক।
আরো পড়ুন: ময়মনসিংহে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
আরো পড়ুন:
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
রাজশাহীতে ৯ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’, অভিযুক্ত কারাগারে
এর আগে, গত বুধবার রাতে নেত্রকোণা সদর থেকে সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সিদ্দিক মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের কড়েহা নুনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ মার্চ দুপুরে সিদ্দিক মিয়ার মরিচ ক্ষেতে যায় শিশুটি। এ সময় তার সঙ্গে আরো দুইটি শিশু ছিল। মরিচ তুলতে দেখে তাদের ধাওয়া দেন সিদ্দিক মিয়া। এসময় দুই শিশু চলে গেলেও চার বছর বয়সী শিশুটিকে সিদ্দিক মিয়া ডেকে নিয়ে যান। পরে পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিন। অসুস্থ হলে গত রবিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শিশুটিকে। বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা। রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
এদিকে, ভুক্তভোগীর পরিবারের পাশে থেকে বিনামূলে আইনি সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
ঢাকা/মিলন/মাসুদ