বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। 

রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দি‌কে কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তি‌নি বলেন, “দীর্ঘ ছয় বছ‌র পরেও এদে‌শের মানুষ আমা‌দের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থে‌কে দূরে স‌রে যান‌নি। এই জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং রা‌য়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ কর‌ছি। এখন চাওয়া এই রায় যেন দ্রুত কার্যকরী হয়। এই রায় কার্যকরী হ‌লে ভ‌বিষ্যতে এমন কাজ কর‌তে আর কেউ সাহস পা‌বে না।”

একই সা‌থে আবরার ফাহা‌দের স্বজনেরাও রা‌য়ে সন্তু‌ষ্টি জা‌নি‌য়ে দ্রুত কার্যক‌রের দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আবর র ফ হ দ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

রূপগঞ্জে সাব্বির রহমান নামে এক শ্রমিককে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আনিসুর রহমান ও ইব্রাহীম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলার অন্য ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, হত্যাকারী তিনজন ও ভুক্তভোগী মো. সাব্বির রহমান একসঙ্গে দীর্ঘদিন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। 

তারা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ টেনে একই তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শিট দিয়ে ঢেকে রাখেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ