রাজশাহী নগরীর ষষ্ঠীতলায় কাঁচাবাজারে আগুন, পুড়লো ১২টি দোকান
Published: 16th, March 2025 GMT
রাজশাহী নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার নিউমার্কেটের পেছনের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২টি দোকান পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুনের খবর পেয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। টানা এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, পুড়ে যাওয়া ১২টি দোকানের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল কাঁচা সবজি ও মুদির দোকান। দুটি দোকান ছিল মুরগির। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও মার্কেটের ভেতরের অংশের দোকানগুলো অক্ষত থাকে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় ফায়ার ফাইটার দেলোয়ার হোসেন অতিরিক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আর কেউ হতাহত হয়নি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।
ঢাকা/কেয়া/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
রূপগঞ্জে সাব্বির রহমান নামে এক শ্রমিককে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার রসুলপুর এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আনিসুর রহমান ও ইব্রাহীম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই মামলার অন্য ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, হত্যাকারী তিনজন ও ভুক্তভোগী মো. সাব্বির রহমান একসঙ্গে দীর্ঘদিন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সাব্বিরের মোবাইল ফোন আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আশরাফুল, আনিস ও মিজান মিলে সাব্বিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তারা লোহার রড ও জিআই তার দিয়ে বানানো ফাঁস ভিকটিম এর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ টেনে একই তলার অন্য একটি কক্ষে নিয়ে প্লেইন শিট দিয়ে ঢেকে রাখেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে মামলা করেন।