ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নানকে তিনটি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ঝালকাঠি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এর আগে আবদুল মান্নান ছয়টি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আজ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। অপর তিনটি মামলা ১৮ মার্চ শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহেব হোসেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোর বাদী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা।

মাহেব হোসেন বলেন, সাবেক পিপি আবদুল মান্নান একাধিক মামলার আসামি। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আজ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি জেলা জজ আদালতে হাজির হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠান।

জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আবদুল মান্নান ১৬ বছর পিপি পদে থেকে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে বিএনপির নেতা–কর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছেন। তিনি বিনা ভোটে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদ অবৈধভাবে ১০ বছর দখল করে রেখেছেন।

আবদুল মান্নান জেলা কৃষক লীগের সভাপতি। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য কারাবন্দী আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে সরকারি কৌঁসুলি থাকা অবস্থায় একই সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ম ন ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৮ নাগরিক। একই সঙ্গে মেঘনা আলমকে দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তি দিতে এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আইনজীবী, আইনের শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁর কোনো হদিস ছিল না। পরে ১০ এপ্রিল রাতে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে হাজির করা হয় বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ৩৮ নাগরিক বলেন, এই পদক্ষেপের বিস্তৃত প্রভাব নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিপীড়নমুক্ত করার যে লক্ষ্য ছিল, তা এমন কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপের কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যেভাবে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধার নীতি থেকে বিচ্যুতি তুলে ধরেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে মেঘনা আলমকে দ্রুত এবং শর্তহীন মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে জরুরিভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে তা দ্রুত তদন্ত করা যায়, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আবেদা গুলরুখ, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, ওমর ফারুক, কাজী জাহেদ ইকবাল, মানজুর-আল-মতিন, প্রিয়া আহসান চৌধুরী, তাসলিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
  • আমাকে হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: টিউলিপ
  • ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহভাজন নীরব মোদির সহযোগী চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে
  • আদালতপাড়ায় এক হয়ে যুবককে পেটালেন সাবেক দুই স্ত্রী
  • ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবার হবে
  • মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
  • প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সব পদে জয়ী বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা
  • মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা
  • পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই